নিজস্ব প্রতিবেদকঃরংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে চালের দাম। সেইসঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুনসহ বেশ কিছু সবজির। এছাড়া মাছ-মাংস, তেল এবং ডালের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে ডিম ও মুরগির দাম।
মঙ্গলবার (২১জুন) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৯৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা দরে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতোই ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে দেশি মুরগি ৪৫০-৪৬০ টাকা, পাকিস্তানি ২৬০-২৭০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দামেও তেমন হেরফের নেই। গত সপ্তাহের মতো গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলানায় সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়ে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো ৮০-৯০ টাকা, করলা ২৫-৩০ টাকা, শসা ২০-২৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুনের দাম বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০-১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬০-৭০, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫-১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০-২৫ টাকা, কচুরলতি আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৫-১০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০-৪৫ টাকা, দুধকুষি ২০-২৫ টাকা, পটল ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া আকারভেদে ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকা, কাঁকরোল ২৫-৩০ টাকা, সবধরনের শাক ১০-১৫ টাকা আঁটি এবং দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আদা ও রসুনের দাম আকারভেদে ৭০-৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির ডিম হালিপ্রতি ২ টাকা কমে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় ২-৩ টাকা বেড়ে ২০-২২ টাকা ও শিল আলু আগের মতোই ৩২-৩৫ টাকা এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকের সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে খোলা চিনি আগের মতোই ৮৫ ও প্যাকেট ৮৫-৮৭ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪০-৪২ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বর্ণা (মোটা) এখন ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ (পুরাতন) ৬৩-৬৫ টাকা, বিআর-২৮ (নতুন) ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ আকারভেদে ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৭০ টাকা, কাতল ২৫০-২৮০ টাকা, স্বরপুঁটি ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply