মুক্তিযুদ্ধের সময় পঞ্চগড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে–আ ক ম মোজাম্মেল হক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি।
পঞ্চগড়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পঞ্চগড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। যে আপনারা আপনাদের এই পবিত্র মাটি থেকে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে তাদের বিতাড়িত করেছিলেন। তাই আপনাদের আমি সেলুট জানাই।
তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক মহাসমাবেশ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানী হায়েনারা গর্ব করতো তারা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর সেনাবাহিনী। আইয়ূব খান তার একটি বইয়ে লিখেছিলেন বাঙ্গালিরা যুদ্ধ করতে জানেনা। তারা ভীরু, তারা কাপুরুষ। তাই তাদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নেয়া হয়না। সেখানে বাঙ্গালীদের ৭ শতাংশ হিসেবে নেয়া হতো। সেই পাক হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে মাথা নত করেছিল। আমরা যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিজয়ের শুরুটা আপনাদের এখান থেকে শুরু হয়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ( ৫০ বছর) উৎসব আমরা আপনাদের মাটি (পঞ্চগড়) থেকে শুরু করছি। আপনাদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক মহাসমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এই আঞ্চলিক মহাসমাবেশে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, গণমাধ্যেম কর্মীরা সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শায়খুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যেমে অন্ষ্ঠুান শুরু করা হয়। পরে থিম সং বিজয় পথে পথে গানের মাধ্যেমে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে লালন ব্যান্ডের সুমি, পান্থ কানাই সহ স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply