মাহির খান:
সফলতার মুকুট মাথায় পরতে কে না চান? তরুণ, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্ক একজন উদ্যোক্তাও চান সফলভাবে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে। কিন্তু অনেকেরই ধারণা, সাফল্য অর্জন বেশ কঠিন।
সফল হতে হলে আপনাকে এ গুণের চর্চা অবশ্যই করতে হবে। কোনো বিশেষ মুহূর্ত কিংবা ক্ষণের অপেক্ষা না করে প্রতিটি সময়কেই কাজে লাগান। নিজেকে মেলে ধরুন সব সম্ভাবনার সামনে। কোনোভাবেই নিজের সঙ্গে আপোষ কিংবা সমঝোতা করার দরকার নেই।অন্য কেউ আপনার সব কাজ সম্পাদন করে দেবে, এমন আশায় বসে থাকার কোনো দরকার নেই। সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিজের প্রয়োজনগুলো নিজেই মেটানো শিখুন। অন্য কেউ কখনও আপনার পথ হেঁটে দেবে না।
সফলতার শেষ বলে কিছু নাই। যুবক বয়সে একটি ভাবনা প্রায় সকলের মাথায় ঘোরপাক খায় তা হল- এক সঙ্গে লেখা-পড়া, খেলাধুলা, গান-বাজনা, আড্ডাবাজি সবই করা। কিন্তু যারা সফলতা খোঁজে বিভোর তাদের ভিশন-মিশন ও লক্ষ্য একটাই-সফল হওয়া। সফলকামী মানুষ সফলতার সিঁড়ি বেয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে একমাত্র শ্রমের মাধ্যমে। বিজয়ীরা একই কাজ একটু ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করে থাকে। সফল ব্যক্তিরা সদা-সর্বদা সকল প্রতিকুল পরিবেশেও প্রো-অ্যাকটিভ থাকে। তাদের স্বপ্ন, পরিকল্পনা, লক্ষ্য, দক্ষতা ও তাদের সফলতার সিঁড়ি একটাই- ‘সফল হতেই হবে।
দার্শনিক (মার্ক টোয়েন) যথার্থই বলেছেন-জীবনে সফল হতে চাইলে দুটি জিনিস প্রয়োজন-জেদ আর আত্মবিশ্বাস।
দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্যে, সমাজ ও জাতির অগ্রগতির জন্যে,শ্রম এক অপরিহার্য উপাদান। অজস্র মানুষের দেখাও অদেখা সমাহারের উপর নির্ভরশীল আমাদের সবার জীবন ও কর্ম। দৈহিক ও মানসিক দু ধরনের শ্রমের অদৃশ্য যোগ সূত্রে বাঁধা। এ কথা শিকার না করে আমাদের উপায় নেই যে, মজুর এবং ম্যানেজার, কৃষক এবং কৃষি অফিসার, কুলি এবং কেরানী, শিক্ষক এবং শিল্পী,-কারো কাজই সমাজে উপেক্ষা নয়। প্রত্যেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করলেই সমাজের অগ্রগতি সাধিত হয়। এ কথা মনে রেখে সবাইকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে।
লেখক: মাহির খান
সহঃসম্পাদক-রংপুর সংবাদ
Leave a Reply