1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
ডায়বেটিসের ওষুধে বিষাক্ত কেমিক্যাল, হামিম কোম্পানীর ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা - রংপুর সংবাদ
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

ডায়বেটিসের ওষুধে বিষাক্ত কেমিক্যাল, হামিম কোম্পানীর ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১
  • ১০৬ জন নিউজটি পড়েছেন

ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য উৎপাদন করা ক্যাপসুলের মধ্যে জীবন বিধ্বংসী বিষাক্ত কেমিক্যাল পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাাপাড়ায় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৩ জুন নীলা আক্তার নামে ওই কোম্পানীর এক কর্মচারী বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই কোম্পানী তালাবদ্ধ রয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে।

মামলার আসামীরা হলো- হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল গণি মন্ডল (৫৮), হেকিম মো. আলামিন (৪০), ম্যানেজার মো. আজিম (৩৫), পরীক্ষক মো. মাসুম (৩৬), মেশিন অপারেটর শিবলী মন্ডল (৩৭), সহকারী ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর (৪৫), মো. সুমন মন্ডল (৪০) ও কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক মোছা. রোজিনা বেগম।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাপাড়া পৌর এলাকায় অবস্থিত হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ডায়াবেটিক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইজিক কেয়ার ক্যাপসূল নামে একটি নতুন ওষুধ উৎপাদন করেছে। ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়াইওষুধের স্যাম্পল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের নির্দেশে হেকিম মো. আলামিন মামলার বাদী নীলা আক্তারকে দেন এবং বিভিন্ন ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে বিতরণ ও প্রয়োগ করে ফলাফল জানানোর নির্দেশ দেন। নীলা আক্তার উৎপাদিত স্যাম্পল ওষুধ নিয়ে তার স্বামী ডায়াবেটিস রোগী নাজমুল হুদা ও শ্বশুর আসাব আলীকে সেবন করান। সেবনের কিছু সময় পড়েই তার স্বামী ও শ্বশুর উভয়েই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্চায় জ্ঞান ফিরে পান তারা। এখন পর্যন্তও তারা অসুস্থ রয়েছেন। পরীক্ষা করে তাদের শরীরে জীবন বিধ্বংসী ডিএম, এইচটিএন, হারবাল পয়জন শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন জানান, ৩ জুন মামলাটি দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই কোম্পানিটি বন্ধ রয়েছে। মামলার যারা আসামী তারা পলাতক রয়েছে। মামলাটি তদন্তের পাশাপাশি আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহসান হাবীব জানান, হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিডেটে কিছু ওষুধ তৈরীর অনুমোদন রয়েছে। নতুন উৎপাদিত ওই ওষুধ ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়া কাউকে সেবন করতে দেওয়ার বিধান নেই। যেহেতু এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, তাই মামলা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun