সরেজমিনে দেখা গেছে, মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে প্রতিটি আমের বাগান। থোকায় থোকায় সজ্জিত মুকুলের দৃশ্যে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র। আর ভালো ফলন পাওয়ার আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেকটা আগাম মুকুল দেখা গেছে। গাছে মুকুল আসার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই পরিচর্যা শুরু করছেন চাষিরা। রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে মুকুল রক্ষায় চাষিরা কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। বাম্পার ফলনের আশায় স্প্রে পদ্ধতিতে প্রয়োগ করছেন বিভিন্ন বালাইনাশক। আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক রওশন মিয়া বলেন, বাগানের অনেক গাছে মুকুল ধরছে। আবার কোন কোন গাছে মুকুল এখনো আসে নাই। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সবগুলো গাছে মুকুল আসবে। কৃষি অফিসার এসে পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবেই ওষুধ ও স্প্রে করছি ।
কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, গতবারের চেয়ে এবার একটু আগেভাগেই মুকুল এসেছে। আমের গুটি ধরা থেকে আম ছেড়া পর্যন্ত ওষুধ ও কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতদিন থেকে আম চাষ করি কিন্তু সরকারি কোন সুবিধা পাই না। যারা পায় তারা বার বার পায়। মাঠ পর্যায় থেকে প্রকৃত কৃষকের তালিকা করা উচিত কিন্তু সেটা করা হয় না ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেন, মিঠাপুকুর হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। যেহেতু ফুল আসছে এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মিঠাপুকুরের পক্ষ থেকে আমরা চাষীদের ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত প্রেসক্রিপসন দিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply