মিঠাপুকুরে নবীনবরণ ও কৃতি সংবর্ধনা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ

রংপুরের মিঠাপুকুরে নবীন বরণ ও কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) উপজেলার ফাহিম রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রতিষ্ঠানের অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজের গ্যাস্ট্রোএন্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান, কেশবপুর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুর আলম, ছড়ান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহমত আলী, ছড়ান দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকিন মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আক্কাস আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীও সমাজ সেবক জিল্লুর রহমানসহ অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জিম্মা হোসেন বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। প্রত্যাশা করি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর বঙ্গের সেরা প্রতিষ্ঠান হবে।এছাড়া ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের আহবান জানান।

ফাহিম রেসিডেন্সিাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, আমার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল এই স্কুল এন্ড কলেজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতেই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করা। শহরের মানে সৃজনশীল শিক্ষক এবং জ্ঞানভিত্তিক পাঠদানের প্রক্রিয়া ফাহিম রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে অব্যাহত রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে শতভাগ পাসের নিশ্চয়তায় এগিয়ে চলছে, বেশকিছু শিক্ষাবর্ষ রয়েছে যেখানে আমাদের শতভাগ জিপিএ-৫ রযেছে কিন্তু স্কুলের নিবন্ধন না থাকায় তা আমরা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সামনে আসতে পারিনি।

তিনি সামনের দিনে নিজস্ব নিবন্ধনে নিজস্ব কোডে স্কুল পরিচালনা করার কথা জানান। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে মূল্যয়ন করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে অভিভাবক, এলাকাবাসীসহ শুধীবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের কথা জানান তিনি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বক্তব্যে, ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইল ফোনের অপব্যাবহার ও মাদকের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করেন।

গ্রামেও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়ালেখা করাতে পেরে নিজেদের আনন্দের কথা জনান অভিভাবকরা।