1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
৮৩ বছরের নারীকে গণধর্ষণ! - রংপুর সংবাদ
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

৮৩ বছরের নারীকে গণধর্ষণ!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১
  • ৭৬ জন নিউজটি পড়েছেন

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ঘুমিয়ে থাকা ৮৩ বছরের বয়সী ও অসুস্থ নারীকে ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অশীতিপর ওই নারী। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন শিধলকুড়া ইউনিয়নের আরমান বেপারীর ছেলে সামিম বেপারী (২৭) ও একই এলাকার তার বন্ধু শহীদ মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর (২৬)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৩টার দিকে ওই বৃদ্ধা নারীর ঘর থেকে চিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটে আসে। ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে ভিতর থেকে আটকানোর কারণে ঢুকতে পারেনি স্থানীয়রা। এ সময় সামিম ও হাসান পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধরার চেষ্টা করলে তাদের ধরা যায়নি।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, জীবনে বড় পাপ করেছি। না হলে আজ এই দিনটা দেখা লাগতো না।

তিনি বলেন, স্বামী মারা যায় অনেক বছর আগে। ঘরে নারী একাই থাকি। ৩ মেয়েই থাকে শ্বশুর বাড়ি। প্রতিদিনের মত রাতে শুয়ে পড়ি। অসুস্থ ছিলাম। রাতে মাঝেমধ্যেই সামিম এসে ঘুমাতে। কালও পুলিশ আসছে ওকে ধরে নিতে-এই কথা বলায় সরল মনে ঘরের দরজা খুলে দেই। তারা ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে পাশের খাটে গিয়ে শোয়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ তারা আমার ওপর আক্রমণ করে। মুখ চেপে রাখায় আমি চিৎকার করলেও শব্দ বের হয়নি। হঠাৎ মুখ ছুটে যাওয়ায় জোরে চিৎকার করি। পাশের ঘরের দুজনসহ আরো অনেকে ছুটে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী রিনা বেগম বলেন, রাতে প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি শুনতে পাই পাশের ঘরের নারী আস্তে আস্তে চিৎকার করছে। আমি মনে করেছিলাম অসুস্থ হয়ে এমনটা করছে। অনেক সময় করার পর তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে হঠাৎ বলে ওঠে, তোরা কে কোথায় আছত, আমারে বাঁচা, সামিম আর হাসান আমাকে মেরে ফেলতাছে। আমি দরজা ধাক্কা দিলে বন্ধ থাকায় খোলে না। পরে তিনি জানান, ওরা পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে পিছন গেলে দেখি দুই জন দৌড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্ধকারে চিনতে পারিনি। ঘরে ঢুকে তাকে অজ্ঞান ও বিবস্ত্র অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি।

সামিমের দাদা সামসুল ইসলাম (৭৮) বলেন, আমার নাতি নেশা পানি করে, কিন্তু কোন মেয়েলী সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

ডামুড্যা থানা অফিসার্স ইন চার্জ (তদন্ত) প্রবিন চক্রবর্তী বলেন, ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun