1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
তীব্র দাবদাহে বিপাকে রিকশাচালকরা, কমেছে আয়   - রংপুর সংবাদ
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

তীব্র দাবদাহে বিপাকে রিকশাচালকরা, কমেছে আয়  

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩২ জন নিউজটি পড়েছেন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ—ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রির পারদ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। এর প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের উপর। বিশেষ করে রাজপথে রোদ মাথায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে রিকশাচালকরা। আগের চেয়ে কম ট্রিপের কারণে আয় কমেছে তাদের।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।

অপরদিকে তীব্র গরমে খেটে খাওয়া এসব মানুষের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসহনীয় গরমে অল্পতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালকরা। এতে যাত্রী নেওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা—ফলে রোজগারও কমেছে তাদের। রাজধানীর মগবাজার ও মৌচাক এলাকায় বেশ কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

শাহজাহান নামে এক রিকশাচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে গরম, রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। একটানা চালাতে পারি না, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। থেমে থেমে বিশ্রাম নেওয়া লাগে। গরমে বেশি চালাতে পারি না বলে রোজগারটাও কমে গেছে। আগে হয়তো সকাল থেকে ২০ জন যাত্রী নিতাম, এখন ১০ জনের বেশি পারি না, শরীর কুলায় না।

তিনি বলেন, গরমে দুর্বল লাগলে পানি খাই, স্যালাইন খাই। ভালো হয় ডাব খাইলে কিন্তু ডাবের যে দাম তাতে তো পোষাবে না।

রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন-পরিবারসহ থাকেন পেয়ারাবাগে। তিনি বলেন, এই গরমে রিকশা চালানো আমাদের জন্য খুব কষ্ট হয়ে যায়। শরীরে বল পাই না, মাঝেমধ্যে মাথা চক্কর দেয়। এখন রিকশা না চালিয়েও তো উপায় নাই। না হলে নিজে খাবো কি আর পরিবারই বা চালাবো কিভাবে।

তিনি বলেন, গাড়িতে পানি রাখি। একটু পর পর পানি খাই। বেশি খারাপ লাগলে স্যালাইন কিনে খাই, তারপর একটু জিরাই আবার চালাই।

একই গল্প শোনালেন আরেক রিকশাচালক সাত্তার হোসেন। পরিবারসহ রাজধানীর মাদারটেকের ছোট্ট এক বাসায় বসবাস করেন। তিনি বলেন, বাইরেও যেমন গরম, ঘরেও তেমন গরম। আমাদের কোথাও স্বস্তি নেই। রাস্তার পাশে মাঝেমধ্যে পানির কল পেলে মাথাটা ভিজিয়ে নেই। বেশি খারাপ লাগলে রিকশায় শুয়ে থাকি, চাইলেও প্যাসেঞ্জার নিতে পারি না।

তিনি বলেন, বিকেলে রোদটা একটু কমলে বা সন্ধ্যার পর রিকশা টানা যায়।

 

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun