শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের সুযোগ থেকেই কারো ব্যক্তিগত জীবনকে কদর্যরুপে সামাজিক মাধ্যমে অন্যপক্ষের মাধ্যমে উপস্থাপন করাটা নেহায়েত খুব সস্তা একটি ধরণ মনে হয় আমার কাছে! হ্যাঁ, পরিচিত মানুষের জীবন নিয়ে আমাদের আগ্রহ থাকে এবং থাকবে। কিন্তু একজন মানুষ দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও যখন তাঁর চারিত্রিক ব্যবচ্ছেদ করা হয়, তারই সংক্ষুব্ধ আত্মীয়-স্বজনের বয়ানের মাধ্যমে, সেটি আসলে কোন যৌক্তিকতা থেকে একজন সচেতন মানুষ উপস্থাপন করেন, আমার মাথায় আসলে আসে না!
আমাদের প্রিয় অভিনেত্রী ও বর্তমানে মাননীয় সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফাকে এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা যখন অনুমতি নিয়েই জিজ্ঞেস করেন, কেন আমাদের প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির সাথে সম্পর্ক টিকলো না, তিনি উত্তরে বলেছিলেন বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুতোটি ছিড়ে গিয়েছিল তাই টিকেনি আর যেহেতু ফরীদি আমার বলাকে খণ্ডন করবার জন্য দুনিয়াতে নেই, তাই এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না! কী চমৎকার বোধ ও ব্যক্তিত্বের মানুষ! এখান থেকেও আমরা শিখি না। কিসের নেশায় যে আমাদের পেয়ে বসেছে, সেটি জানি না! মৃত মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ির এই বিষয়টি একজন মানুষ নৈতিকভাবে কিভাবে সমর্থন করে, আমি ভেবে পাই না!
ইয়েস এসব ভিডিওর দর্শক অনেক বেশি হয়। আগ্রহ থেকেই মানুষজন এসব শুনে বাজে মন্তব্যও করে সেই মৃত মানুষকে নিয়ে! নিজেরই সংক্ষুব্ধ আত্মীয়-স্বজনের দায় রয়েছে, কিন্তু তাদেরকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে কেন? কারো কারো প্রদর্শনে সহনশীলতা থাকলেও কেউ কেউ খুবই নোংরাভাবে হিংসার বীজ বুনে দিচ্ছেন। সচেতন মানুষদের কাছ থেকে এরুপ আচরণ প্রত্যাশিত নয়।
শুধুমাত্র পর্দার মানুষ বলেই কী মৃত মানুষের পুরোনো কাহিনী দিয়েও এই নগ্ন উপায়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে? মনে রাখবেন মানুষটা আর দুনিয়াতে নাই। আপনার ও আমার হিসাবের বাইরে এখন তাঁর অবস্থান! এ যাত্রায় না হয় ছেড়ে দিলেন, আর কত!?
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
Leave a Reply