1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
রমজানে ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস কিনতে পারবেন রংপুরবাসী - রংপুর সংবাদ
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

রমজানে ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস কিনতে পারবেন রংপুরবাসী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৮ জন নিউজটি পড়েছেন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অন্যান্য জেলার মতো রংপুরেও আধা কেজির কমে বিক্রি হয় না গরুর মাংস। একারণে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষেরা চাহিদা অনুযায়ী মাংস কিনতে পারছেন না। আবার পরিবারের সদস্যদের আবদার যারা ফেলতে পারছেন না, তারা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো গরুর মাথা, কলিজা, ফুসফুস, ভুরি কিনছেন।

রংপুর মহানগরীতে ছোটবড় ২২টি বাজার ছাড়াও পাড়া-মহল্লার মোড়ে রয়েছে গরুর মাংস বিক্রির দোকান। প্রতিদিন অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ গরু জবাই করা হয়। বর্তমানে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য না থাকায় গরুর মাংস কিনতে পারছেন না বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ।

দুই সদস্যের পরিবারে এক বেলার জন্য দেড় থেকে দু’শ গ্রাম মাংস যথেষ্ট হলেও রংপুরে এই পরিমাণ মাংস কেনাবেচার প্রচলন নেই।  সর্বনিম্ন আধা কেজি মাংস কিনতে হয়, যার দাম সাড়ে ৩০০ টাকা। এই পরিমাণ মাংস কিনলে একদিনের রোজগারের প্রায় পুরোটাই চলে যায়। এতে বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের খাবারের পাত থেকে উঠে যাচ্ছে গরুর মাংস।

পবিত্র মাহে রমজানে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী রংপুর মহানগরীতে সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাংস ব্যবসায়ী ও নগরীরর বিভিন্ন বাজার কমিটির সাথে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক মানুষ, বিশেষত গরিব মানুষ তাদের শিশুদের মুখে এক মাসেও একবার মাংস তুলে দিতে পারছেন না। রোজার মাস শুরু হওয়ার আগে মহানগরীর সব মাংস ব্যবসায়ীকে ডেকে মানুষের সাধ্য অনুযায়ী মাংস কেনা-বেচার ব্যবস্থা করবো।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে না থাকলেও প্রতিবেশী ভারতে কিন্তু একশ’ বা দুইশ’ গ্রাম মাংস বিক্রি হয়। এটি করতে পারলে দরিদ্র মানুষ মাংস খেতে পারবে। আমরা চাই সবার সঙ্গে কথা বলে কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম হলেও যেন মাংস বিক্রি করা হয়। ক্রেতা বা ভোক্তা যেন মাংস কিনতে এসে ফিরে না যায়, সেই দিকটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, একজন ক্রেতা তার যতটুকো প্রয়োজন, সেটাই কিনতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সেটা মানেন না বলেই অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ তার চাহিদা অনুযায়ী গরুর মাংস কিনতে পারছেন না। আমাদের চেষ্টা থাকবে অন্তত রমজান মাসে যেন মাংস ব্যবসায়ীরা ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি করতে আপত্তি না করেন। এটা বাস্তবায়ন করতে সিটি করপোরেশনের মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের সহায়তা নিব।

 

 

তিনি বলেন, কোনো গ্রাহক বা ক্রেতা ২৫০ গ্রাম মাংস কিনতে যাবে কিন্তু মাংস ব্যবসায়ী যদি তা বিক্রি না করেন, আর আমাদের কাছে যদি এধরণের অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা ওই মাংস ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করে দিব। এই উদ্যোগ রমজানের শুরু থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে।

এ সময় মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা নৈতিকতার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের বিবেক কাজ করতে হবে। মাহে রমজানে ব্যবসায় বেশি লাভবান হতে অনেককে সিন্ডিকেট করতে দেখি। অথচ এই মাসে উচিত স্বল্প মুনাফায় সন্তুষ্ট থেকে ব্যবসা করা। আমাদের অনুরোধ থাকবে কেউ যাতে সিন্ডিকেট না করে, অধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্য মজুদ না করে এবং নিম্নআয়ের মানুষদের কষ্ট না দেয়।

 

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun