1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
ক্ষুধার্তের পাশে দাঁড়াতে শেখায় রোজা - রংপুর সংবাদ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার আবু সাঈদের পরিবারকে বেরোবি প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা  মুইও তাড়াতাড়ি তোর কাছোত আসিম’ বলে সাঈদকে চিরবিদায় দিলেন মা বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা আন্দোলনকারীদের ছয় শিক্ষার্থী হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে : জিএম কাদের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে হতাশ হতে হবে না:প্রধানমন্ত্রী হাতীবান্ধায় তিস্তার তোড়ে বিলীন কমিউনিটি ক্লিনিক নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান শেখ হাসিনার, জানালেন কাদের রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের জানাজা-দাফন সম্পন্ন ক্যাম্পাস ছাড়ছেন রংপুর বেরোবি শিক্ষার্থীরা, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ক্ষুধার্তের পাশে দাঁড়াতে শেখায় রোজা

মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১
  • ১০৭ জন নিউজটি পড়েছেন

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো ক্ষুধার কষ্ট। এ ক্ষুধার জন্যই আমাদের এত পরিশ্রম, এত ছোটাছুটি। পেটপুরে দুমুঠো খাওয়ার জন্য কী না করে মানুষ। এমনও শোনা যায়, পেটের জ্বালা নেভাতে পেটের সন্তানকেই বিক্রি করে দিয়েছে মানুষ। বহুদিন আগে একটি সংবাদে দেখলাম, খেতে না পেয়ে দরিদ্র বাবার এক হতভাগ্য সন্তান গলায় ফাঁস দিয়েছে। একজন মানুষ যতক্ষণ না ক্ষুধায় কষ্ট পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কোনোভাবেই ক্ষুধার জ্বালা কেমন, তা বোঝানো যাবে না।

মানুষের ক্ষুধার কষ্ট কী, তা বোঝার জন্যও নবীজি (সা.) অনেক সময় না খেয়ে থাকতেন। বেশির ভাগ সময় তিনি নিজের খাবার অন্যকে দিয়ে অনাহারে কাটাতেন। হাদিস শরিফে পাওয়া যায়, গরিব সাহাবিরা ক্ষুধার কষ্ট সইতে না পেরে পেটে পাথর বাঁধতেন, নবীজি (সা.) তাঁদের কষ্ট অনুভব করার জন্য না খেয়ে পেটে পাথর বেঁধে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাটিয়ে দিতেন। রমজানে আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকি। দুপুরের পর থেকে ক্ষুধার মাত্রা বাড়তে থাকে।

একসময় মনে হয় আর যেন পারছি না। মাঝেমধ্যে এমনও হয়, কাজকর্ম বাদ দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। আমাদের এ কষ্ট তখনই সার্থক হবে যখন ভাবব, আমাদের আশপাশে যারা না খেয়ে আছে, তাদেরও ঠিক এমনই বা এর চেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছে। ওই সব ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের মুখে দুমুঠো খাবার নিশ্চিত করা একজন রোজাদারের কর্তব্য ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা। আর এ জন্যই মহান আল্লাহ সামর্থ্যবানদের ওপর জাকাত, সদকাতুল ফিতরসহ দান-খয়রাত ফরজ করে দিয়েছেন। আমরা যদি দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে না পারি, করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, তাহলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যত বড় মুত্তাকিই হই না কেন, জাহান্নাম থেকে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না।

সুরা মুদ্দাসসিরে আল্লাহ বলেন, ফেরেশতারা জাহান্নামিদের জিজ্ঞেস করবে, কেন তোমরা জাহান্নামি হলে? জাহান্নামিরা বলবে, আমরা নামাজি ছিলাম না আর অভাবগ্রস্তকে আহার দিতাম না। মনে রাখতে হবে, সারা দিন না খেয়ে থাকা, সারা রাত নামাজ পড়া অনেক সহজ, নিজের কষ্টার্জিত একটি পয়সা খোদার রাস্তায় অন্যের কল্যাণে বিলিয়ে দেওয়া সত্যি বড় কষ্টের। তো এই কষ্ট সয়ে আমরা যদি সঠিক রোজা করতে পারি এবং দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ার কর্মসূচি নিতে পারি, আশা করা যায়, এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরপরই অপরূপ জান্নাত আল্লাহ আমাদের দান করবেন।

লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি

পীর সাহেব, আউলিয়ানগর

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun