চলমান ‘লকডাউন’ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। যদিও ঈদের আগে ব্যাংক খোলা থাকবে আর মাত্র চার দিন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনও চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ঈদের আগে তৈরি পোশাক শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা সরকারি ছুটির দিনেও খোলা রাখতে হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত পৃথক সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী রোজা ২৯টি হলে ১২ মে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। তখন ঈদের আগে ব্যাংকিং কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র তিনটি। এগুলো হলো আজ বৃহস্পতিবার, রবিবার ও মঙ্গলবার। মাঝখানে সোমবার শবেকদরের সরকারি ছুটি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রোজা ২৯টি হোক বা ৩০টি হোক ১২ মে বুধবারও ব্যাংক খোলা থাকবে।
অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের সার্কুলারে বলা হয়, ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ঈদের আগে তৈরি পোশাক শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ও রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার স্বার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কাৎসলয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করে ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত (১৪ মে ঈদ হওয়া সাপেক্ষে) খোলা রাখতে হবে। সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের সার্কুলারে বলা হয়েছে, গ্রাহকের হিসাবে মেয়াদপূর্তিতে স্থায়ী আমানত নগদায়ন, ঋণের কিস্তি জমাকরণ ইত্যাদি জরুরি আর্থিকসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি শাখা ঢাকায় ও বাইরের প্রতি জেলায় সর্বোচ্চ একটি শাখা এবং প্রধান কাৎসলয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
Leave a Reply