1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
অপহরণের দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন - রংপুর সংবাদ
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভোট বর্জনের ইঙ্গিত জাপা মহাসচিবের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাবধান করে যা বললেন ওবায়দুল কাদের রংপুরে ৪লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৫জন শিশুকে  ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শীত বাড়ায় মার্কেটের থেকে ফুটপাতে বিক্রি বেড়েছে গরম কাপড়ের রসিকে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টি শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে রংপুরে ভোক্তার অভিযানে ২০০ টাকার পেয়াজ মিললো ১৫০ টাকায় রংপুর ২- প্রার্থীতা ফিরে পেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু; নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস চার বছর ধরে লাপাত্তা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্লাস্টিক বোতল দিলে পাওয়া যাবে কম্বল সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুনঃতফসিল চেয়ে রিট

অপহরণের দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ৯১ জন নিউজটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের বদরগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় প্রায় ৮ বছর পর দুজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ইয়াছমিন, রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লালচাঁদপুর গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে আব্দুল ওহিদ ও বদরগঞ্জ উপজেলার চান্দেরডাঙ্গা গ্রামের এন্তাজুল হকের মেয়ে তারা মনি। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় অপর আসামী মানিক মিয়াকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে ইয়াছমিন, তারা মনি ও মানিক মিয়া উপস্থিত থাকলেও ওহিদ পলাতক রয়েছে।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর বদরগঞ্জ উপজেলার ওসমানপুর এলাকার ওই শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। ওই ছাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বাবা বদরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

এরই মধ্যে স্থানীয় ভ্যানচালক আল আমিনের মাধ্যমে জানতে পারে প্রতিবেশী এন্তাজুলের মেয়ে তারামনির সাথে তার মেয়ে বদরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াগঞ্জ গিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ নিখোঁজ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কমল মোহন চাকী ২০১৬ সালের ১০ মার্চ আদালতে চার্জশীট দেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে সোমবার আদালতের বিচারক আসামী ইয়াসমিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও  ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড, ধর্ষণের ঘটনায় আব্দুল ওহিদকে দুটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তারা মনি শিশু হওয়ায় তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন।

রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, স্কুলের বান্ধবী তারামনি ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ওহিদের কাছে তুলে দেয়। ওহিদ ওই ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণ করে এবং মামলার আসামি ইয়াসমিনের কাছে বিক্রি করে দেয়। ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ ভৈরব এলাকার একটি পতিতালয়ে থাকতে বাধ্য করে। এর কিছুদিন পর ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে অন্য জায়গায় বিক্রির চেষ্টা করলে কৌশলে ওই ছাত্রী পালিয়ে যায়। বাসযাত্রী এক নারীকে ওই ছাত্রী পুরো বিষয়টি খুলে বলে।

পরে ওই নারী পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। তিনি বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট হলেও মামলার আসামী মানিককে অব্যাহতি দেয়ায় তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun