1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
অতি গরমে বাড়ছে অসুখ,বেশি আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশুরা - রংপুর সংবাদ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার আবু সাঈদের পরিবারকে বেরোবি প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা  মুইও তাড়াতাড়ি তোর কাছোত আসিম’ বলে সাঈদকে চিরবিদায় দিলেন মা বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা আন্দোলনকারীদের ছয় শিক্ষার্থী হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে : জিএম কাদের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে হতাশ হতে হবে না:প্রধানমন্ত্রী হাতীবান্ধায় তিস্তার তোড়ে বিলীন কমিউনিটি ক্লিনিক নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান শেখ হাসিনার, জানালেন কাদের রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের জানাজা-দাফন সম্পন্ন ক্যাম্পাস ছাড়ছেন রংপুর বেরোবি শিক্ষার্থীরা, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অতি গরমে বাড়ছে অসুখ,বেশি আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশুরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১১০ জন নিউজটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সপ্তাহখানেক ধরেই তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাঠফাটা রোদে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আবহাওয়ার এই রূপ পরিবর্তনে জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চিকেন পক্সসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

পর্যাপ্ত পানি, স্যালাইন সেবন ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গরম এ বছর মাত্রা ছাড়াচ্ছে। খুব ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, বাইরে দীর্ঘ সময় কাজ করেন এমন ব্যক্তি, মানসিক রোগী এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষেরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন। পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি বাড়লে শরীরে পানিশূন্যতা, হিট ক্রাম্প, অবসাদ, হিটস্ট্রোক ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

’ তিনি আরও বলেন, ‘গরমে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর লবণ ও পানি হারায় আমাদের ত্বক। এই পানির ঘাটতি পূরণ না করলে পানিশূন্যতা হতে পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে বারবার পানি পান করতে হবে। এ সময় শসা, লেবু-পানি, ডাব ইত্যাদি ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

সাধারণত এই মৌসুমে চিকেন পক্স রোগের বিস্তার হয়। এই ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুরা বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়, তাই তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। অসুখ তীব্র হলে হাসপাতালে যেতে হবে।’ হাসপাতালে বাড়ছে ছোঁয়াচে রোগ চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগী ভর্তি। ঋতু বদলে আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে এ রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০ জন, মারা গেছেন পাঁচজন। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আক্রান্ত বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীর ম্যাজম্যাজ করলে চিকেন পক্স হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে চলতি বছর আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি। হাঁচি, কাশি, থুতুর মাধ্যমে, একসঙ্গে থাকা ও খাওয়ার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। চিকেন পক্সের যে ফোসকায় জীবাণু থাকে, এটি ফেটে গিয়েও রোগ ছড়াতে পারে। সংক্রামক এই রোগের চিকিৎসায় একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। জরুরি বিভাগে চিকেন পক্সের রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সংকটাপন্নদের ভর্তির জন্য ২৫ শয্যার ওয়ার্ডও রয়েছে হাসপাতালটিতে, যা প্রায় সময়ই পূর্ণ থাকে রোগীতে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রতিদিন ২-৩ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন। এর মধ্যে শিশু ১৫ জন। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছর প্রতিষ্ঠানটিতে চিকেন পক্স নিয়ে ৩৫০ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১২ জনের। চলতি বছর ২৭০ রোগী ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু দুজন। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মো. আরিফুল বাসার বলেন, ‘প্রতিবছর এই সময়ে চিকেন পক্সে আক্রান্ত বেশি হয়। তবে এ বছর আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় বেশি। যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ’ রোগীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক রোগী হাতুড়ে কিংবা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নেন। এসবের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় অনেক রোগীর চামড়া পুড়ে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ পথ্য সেবন করতে হবে। ’ গরমে ত্বকে ঘামাচি ও অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শরীরে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়ে ঘর্মগ্রন্থি ও নালি ফেটে ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। এতে ঘামাচি হয়। আবার ঘাম ও ময়লা জমে ঘর্মনালির মুখ বন্ধ হয়ে ইনফেকশনও হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও ঘাম ও ময়লার কারণে ছত্রাকজনিত রোগও এ সময় বেশি হয়। যারা সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে বেশিক্ষণ থাকে, তাদের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। এতে ত্বক লাল হয়ে যায়, জ্বালাপোড়া করে, চুলকায় ও ফোসকা পড়ে। মূলত সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিই এর জন্য দায়ী। এ ব্যাপারে ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় গরম পড়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও তীব্র গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানির সঙ্গে একটু গুড়, লবণ মিশিয়ে দুই-তিনবার পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যগত দিক খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের পাতলা কাপড় পরাতে হবে। সরাসরি রোদ পড়ছে এমন জায়গা থেকে দূরে রাখতে হবে। ’

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun