স্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলারটংভাঙ্গা ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আছিমুদ্দিনের পুত্র প্রয়াত শাহজাহানের পুত্র তরুণ মৎস্য উদ্যোক্তা রিয়াদ হাসান।
রিয়াদ হাসান ছোটকাল থেকেই বেড়ে উঠেছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়। লেখাপড়া করেছেন হাতীবান্ধার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএস মডেল হাইস্কুলে। ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে লেখাপড়া শেষ করেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি পিতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় জমিজামার দেখাশোনা করতেন।তার প্রবল ইচ্ছে ছিল হাতীবান্ধায় সবচেয়ে বড় একটি মৎস্য প্রজেক্ট করার।
রিয়াদের ইচ্ছে শক্তি এখন পূরণের দ্বারপ্রান্তে প্রায়।কারণ টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় পিতার প্রায় সাড়ে ৮ একর জমিতে মৎস্য প্রজেক্ট করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
উদিয়মান এই তরুণ সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, কঠোর পরিশ্রম এবং সত্য নিষ্ঠার সাথে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তার লক্ষ্য অর্জন করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তার খালাতো ভাই মোকছেদুর রহমান দবি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দেশের তরুণ প্রজন্ম যখন মাসিক উপার্জন নিয়ে অব্যাহতভাবে চাকরির নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন রিয়াদ হাসান উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করতে কাজ করছেন। তিনি ভিন্ন ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বেকার তরুণদের একটি শক্তিশালী তথ্য কাঠামো তৈরি করে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের নিজ ক্ষমতায় সাফল্যের পথ দেখাবেন বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
যাত্রার প্রারম্ভিক গল্প রিয়াদ হাসান সর্বদা জন-সাধারণকে সাহায্য করতে চেয়েছেন এবং এলাকার বেকার মানুষের জন্য কিছু করতে এবং আর্থ-সামাজিক প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অবদান রাখতে চেয়েছেন।
রিয়াদ হাসান বলেন, ‘আমি সবাইকে দেখাতে চাই পথ যতই ভঙ্গুর হোক না কেন বা পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, আমাদের সবার শিখতে হবে তা কিভাবে অতিক্রম করতে হয়। আসল বিজয়ীরা হল তারাই যারা কখনই হার মানে না এবং অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। আমি তেমনি আমার মৎস্য প্রজেক্ট করে তরুণদের মাঝে উৎসাহিত করতে চাই স্বীয় প্রচেষ্টা কাজে লাগানোর।
তার মৎস্য প্রজেক্টে প্রায় দের শতাধিক বেকার যুবকের লোকের কর্মসংস্হান হবেও বলে জানান তিনি।
Leave a Reply