চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকের সেই দুচিন্তা দূর করতে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার(৮মে) সকালে সংগঠনের চেয়ারম্যান রাকিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সচিব কেএম শহিদ উল্যা নির্দেশে সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাজুর সহযোগীতা ও কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সুইটের তত্ত্বাবধায়নে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা সাইফুল ইসলাম সুইট।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখান ইউনিয়নে গ্রামে হতদরিদ্র কৃষক দিনমজুর আয়রিন বেগম এর দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ নীলফামারি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৫০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ রংপুর বিভাগের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সুইট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে কেন্দ্র ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের নির্দেশে উপজেলা নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা ‘কল করলেই-নিশ্চিত সেবা’ এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যে কৃষকের পাশে দাঁড়াতে। তাই আমার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ রংপুর বিভাগীর সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে রংপুর বিভাগে প্রতিটি ইউনিটের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কৃষক ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
কৃষক আইরিন বেগন জানান, করোনার মহামারি আর ‘লকডাউন’ পরিস্থিতির কারণে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আবার পেলেও বেশি দাম দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। এতে করে সব কৃষকের কপালেই এখন দুচিন্তার ভাঁজ। এ অবস্থায় মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতেও পারছিলাম না। মাঠে ধান পেকে ঝরে যাচ্ছিল। টাকার অভাবে কাটতে পারছিলাম না। খবর পেয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ নীলফামারী জেলা কমিটির নেতার্কমীরা আমার পাকা ধান কেটে আমার বাড়িতে তুলে দিয়েছেন। এতে আমার অনেক উপকার হলো। তাদের প্রতি আমার দোয়া রইল।
এসময় ধানকাটতে অংশ গ্রহন করেন, ইউনিয়নের শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ নীলফামারি জেলা সভাপতি সঞ্জয় রায় নয়ন, সাধারণ সম্পাদক রোকোনুজ্জামান রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মাসুমসহ অন্যান্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কর্মসূচি বিষয়ে জেলা শাখা এর সভাপতি সঞ্জয় রায় নয়ন বলেন, এসময় কৃষকরা কষ্ট করে তাদের সোনার ফসল ফলিয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুমে নীলফামারীতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংকটে কৃষকরা পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। ধান কাটার খরচও পড়ছে বেশি। তাই অনেক দরিদ্র কৃষক ক্ষেতের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না।তাই পুরো জেলা জুড়ে আমাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা সবাই মিলে তা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।
এবিষয়ে নীলফামারী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মাসুম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে হতদরিদ্র কৃষকদের সুবিধার জন্য শনিবার ধান কেটে ঘরে দিতে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ রংপুর বিভাগীর সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং আগামীদিনে রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সুইট এর তত্ত্বাবধানে আগামী দিনেও আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব যতদিন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক জীবন এ ফিরে না আসে।
Leave a Reply