1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
আজ পঁচিশে বৈশাখ - রংপুর সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

আজ পঁচিশে বৈশাখ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ৫৭ জন নিউজটি পড়েছেন

শুধু শিল্প-সাহিত্যে নয়, রবীন্দ্রনাথ আমাদের অস্তিত্বজুড়ে। চিন্তায়, চেতনায়, মননে—এককথায় আমাদের সত্তাজুড়ে তাঁর সদর্প অবস্থান। আজ পঁচিশে বৈশাখ এই মহান কবির জন্মদিন। শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় তাঁকে স্মরণ করবে বাঙালি। করোনা মহামারির কারণে এ বছরও আনুষ্ঠানিকতা কম হবে; কিন্তু হৃদয়ের উদযাপন থেমে থাকবে না। পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তাঁকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলোও রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান প্রচার করছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী যেখানে বাঙালি সেখানেই উদযাপিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। আর এভাবেই প্রাণের কবি পৌঁছে যাবেন প্রাণের আরো গভীরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশালতা ও গভীরতায় বাঙালি জাতি ঋদ্ধ হয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয় আরো শাণিত হয়েছে। বাঙালির জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথের এমন শক্তিশালী অবস্থান দেখেই তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক ও শোষকরা রবীন্দ্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু যেখানে বাধা আসে সেখানেই থাকে বাধা ডিঙানোর চেষ্টা। আর তাই রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে দ্রুতই গড়ে ওঠে ছায়ানট আন্দোলন। পহেলা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ ও বাইশে শ্রাবণে রবীন্দ্রসংগীতভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোর জয়জয়কার শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক বাঙালির হৃদয়মানসে আরো স্থায়ী রূপ নিতে থাকে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধেও রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণার উৎস। স্বাধীনতার পরও তাঁর দেখানো পথেই হেঁটেছে বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির শত অপপ্রচার, উসকানি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অভিন্ন ঐতিহ্যের অসাম্প্রদায়িক পথ ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

কবিগুরুর জন্ম কলকাতায় হলেও তাঁর চিন্তা-ভাবনা ও সাহিত্যের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে পূর্ব বাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশ। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমিদারি দেখভালের জন্য তিনি শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও সর্বশেষ পতিসরে তাঁর জীবনের একটি বড় অংশ কাটিয়েছেন। তাঁর সাহিত্য রচনায় এসব অঞ্চলের প্রকৃতি, জীবন ও লোকসংস্কৃতির বিপুল প্রভাব রয়েছে। পদ্মা তাঁর রচনায় উঠে এসেছে বিচিত্র রূপে। প্রথাগত জমিদারদের মতো না হয়ে তিনি সমাজসংস্কার ও মানুষের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। কলের লাঙল বা যান্ত্রিক কৃষি ও উন্নত বীজ প্রবর্তনের চেষ্টা করেছেন। দরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ জোগাতে গ্রামীণ কৃষি ব্যাংকের প্রবর্তন করেছিলেন। সংস্কৃতির বিকাশেও নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনাচার নিয়েও কথা বলেছেন। তাঁর লেখায় আমরা পাই, ‘বায়ুবিহারী জীববীজাণুগণ ব্যাধিশস্য উৎপাদনের জন্য সর্বদা উপযুক্ত ক্ষেত্র অনুসন্ধান করিতেছে এই কথা স্মরণ করিয়া আহার, পানীয় ও বাসস্থান পরিষ্কার রাখা আমাদের নিজের ও প্রতিবেশীদের হিতের পক্ষে কত অত্যাবশ্যক তাহা কাহারো অবিদিত থাকিবে না।’ তিনি লিখেছেন, ‘মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও তার সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস।’

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কিংবা ‘সোনার বাংলা’ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই রবীন্দ্রমানসকে উপলব্ধি করতে হবে। জাতীয় জীবনে মনন ও চর্চার পরিশুদ্ধ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। রবীন্দ্রচর্চার মাধ্যমে নিজেদের আরো ঋদ্ধ করতে হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun