ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রংপুরে হঠাৎ বেড়েছে ছাগল চোরের উপদ্রব। একদিনে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ছয়টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুুুর নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাগল চুরির খবর পাওয়া গেছে।
হঠাৎ করে ছাগল চুরির হিড়িক পড়ায় উদ্বিগ্ন খামারিরা। পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়।
জানা গেছে, নগরের জলকর এলাকার লোকমান হোসেনের একটি, নিউ জুম্মাপাড়ার বকুল মিয়ার তিনটি, রংপুর জিলা স্কুলের পিয়ন আশরাফুলের একটি এবং কেরানিপাড়ার একটি ছাগল চুরির হয়েছে। বুধবার (৫ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুরির এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী রংপুুুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে আমার বাসা থেকে একটি মা ছাগল চুরি হয়। মা চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন বাচ্চা দুটি সারাক্ষণ ডাকাডাকি করে।
তিনি আরও বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোটরসাইকেল ও অটোতে করে প্রতিদিন ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত ঈদকে ঘিরে এই চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে ছাগল পালনকারী ও খামারিরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।
নিউ জুম্মাপাড়ার বকুল মিয়া বলেন, পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি। হঠাৎ করে বুধবার দিনে দুপুরে আমার তিনটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করে কোথাও ছাগলের সন্ধান পাইনি। ছাগল চুরি হওয়ায় আমার প্রায় ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর জিলা স্কুলের পিয়ন আশরাফুল এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বলেন, অটোতে করে কয়েকজন যুবক ছাগলটি চুরি করে নিয়ে গেছে। এর কয়েকদিন আগেও আমার আরেক প্রতিবেশীর দুটি ছাগল চুরি হয়েছে। এরকম অভাবের সময়ে ছাগল চুরি দুঃখজনক। এসব ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা উচিত।
নগরীর এরশাদনগর আশরতপুর এলাকার খামারি আমিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ছাগল চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের। ছাগল পালনকারীদের বেশির ভাগই গরিব। তারা অনেক আশা নিয়ে ছাগল পালন করেন। পুলিশ প্রশাসন যদি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তাহলে চুরি থামবে না।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ছাগল চুরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে আমরা খতিয়ে দেখব।
Leave a Reply