জরুরি পরিষেবা হিসেবে বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্লোবাল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বা ভিএফএস (বাংলাদেশ) কার্যক্রম দ্রুত চালুর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আশা, আগামী রবি বা সোমবার এই কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে আবার জরুরি সেবা দেয়ার অংশ হিসেবে গ্লোবাল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বা ভিএফএস (বাংলাদেশ) কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বৃহস্পতিবার এক খুদেবার্তার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জরুরি পরিষেবা হিসেবে বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি দ্রুত চালুর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আশা, আগামী রবি বা সোমবার এই কার্যক্রম শুরু হবে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ইতালিসহ কয়কটি দেশ ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিসা সেবা দিয়ে থাকে। করোনাকালে এ সেবা বন্ধ ছিল।
এদিকে বেশ কিছু দিন ধরে এই সেবা চালুর জন্য বিভিন্ন মহল দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।
এ সেবা চালুর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ শহর সিলেটে গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ভিএসএফ গ্লোবালের সেবা সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার দাবি জানায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, লকডাউনের কারণে ভিএসএফ গ্লোবালের বাংলাদেশে সেবা বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও তারা সময়মতো যেতে পারছেন না। যে কারণে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার পথে রয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক ও মানসিকভাবেও তারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
তখন লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘শত শত ছাত্র-ছাত্রীর পাসপোর্ট ভিএসএফ এ আটকে আছে। আবার অনেকে পাসপোর্ট জমা দেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এতে অনেকের ভর্তি সেশন মিস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া যারা ২-৩ মাস ধরে অনলাইনে ক্লাস করছেন, তারা কারিগরি সমস্যার কারণে সঠিকভাবে ক্লাস করতে পারছেন না, যা তাদের পরীক্ষার ফলাফলেও প্রভাব ফেলবে।’
তারা আরও বলেন, ‘লাখ লাখ টাকা টিউশন ফি দিয়ে অনলাইনে ক্লাস করছেন, কিন্তু যদি এতদিন অপেক্ষা করার পরও ভিসা না হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ২৫ শতাংশ ফি কেটে নেবে। এ ছাড়া অনেকের ভিসা হয়ে গেলেও, পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারায় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পাশাপাশি আইইএলটিএস এবং মেডিক্যাল পরীক্ষারও মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, যা শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।’
তাই যাদের কেস লেটারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে রয়েছে এবং ভিসা পাওয়ার পরও যারা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন না, তাদের কথা বিবেচনা করে জরুরি সেবা হিসেবে ভিএসএফ গ্লোবালের সেবা চালুর দাবি জানান তারা।
Leave a Reply