মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের আগামী চন্দ্রাভিযানের আকাশযান নির্মাণ করার দায়িত্ব দিয়েছে স্পেসএক্স-কে। চুক্তির পরই চাঁদে অবতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। তবে আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
নাসার ২৯০ কোটি ডলারের এই চুক্তি জেতার দৌড়ে টিকে থাকতে না পারা দুই প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন ও ডায়ানেটিক্স অভিযোগ করেছে ইউএস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসে (জিএও)। এ কারণেই স্পেসএক্সকে কাজ স্থগিত করতে বলেছে নাসা।
প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সরকারি এক সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ব্লু অরিজিন ও ডায়ানেটিক্স। সে অভিযোগ পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে নাসা।
নাসার মুখপাত্র মনিকা উইট এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ২৬ এপ্রিল বিষয়টি নাসার নজরে আসে। জিএও অভিযোগ মেনে নাসা স্পেসএক্সকে এইচএলএস চুক্তির কাজ স্থগিত রাখতে বলেছে যতক্ষণ এ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের জটিলতার অবসান শেষ না হয়।
স্পেসএক্স হচ্ছে ধনকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের রকেট নির্মাতা কোম্পানি। আকাশযানের মুন ল্যান্ডারটি স্পেসএক্স এর স্টারশিপ ক্রাপ্টের আদলে তৈরি করা হবে, এটি দক্ষিণ টেক্সাসের একটি সাইটে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন আকাশযানটি হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম (এইচএলএস) নামে পরিচিতি পাবে।
এ যানটি মূলত চাঁদের কক্ষপথে থাকা মূল মহাকাশযান থেকে নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে নামানো এবং সেখান থেকে আবার মূল যানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার কাজটি করবে। এতে থাকবে একটি কেবিন-আর দুটি ‘এয়ার লক’, যার মাধ্যমে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে হাঁটাচলার জন্য বেরুতে পারবেন।
নাসা এই মিশনে নামছে আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এটি শুরু হয়েছিল। ২০২৪ সালের মধ্যে সংস্থাটি চাঁদে আবার মানুষ পাঠাতে চায়।
Leave a Reply