মুজিব জন্মশত বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কাউনিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ ও জমি পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪শ পরিবার। দীর্ঘদিন আশ্রয়হীন থাকার পর মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো। গ্রামে ঘুরে ঘুরে এসব হতদরিদ্রদের সুবিধাভোগী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (২০ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এইসব ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে ১ম ও ২য় পর্যায়ে উপজেলার ৫২০টি পরিবারকে তৃণমূলে খুঁজে খুঁজে অন্তর্ভুক্ত করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। সুবিধাভোগী ৫২০টি পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১২০টি গৃহ ও জমির দলিল ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয় দিতে গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে । ইতিমধ্যে ৫১ টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পুন্ন হয়েছে। যা গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে উক্ত গৃহ ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। অবশিষ্ট ৩৪৯ টি গৃহের নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধুমেরকুঠি গ্রামে জয়বাংলা নিবাসে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া হতদরিদ্র ও গৃহহীন মানুষরা তাদের গৃহে আসবাবপত্র সাজাচ্ছে। আশ্রয়হীন এসব হতদরিদ্র ও গৃহহীন মানুষরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেয়ে আবেগে আপ্লুত। বাকি জীবনটা কাটাতে চান স্বস্তিতে নিশ্চিন্তে তারা। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত শিশু, কিশোর ও বয়োবৃদ্ধ পরিবারে চলছে আনন্দের বন্যা।
হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম পলাশ বলেন, তিস্তার কড়াল গ্রাসে অনেক পরিবার ভিটামাটি হারিয়েছিল। দীর্ঘদিন আশ্রয়হীন থাকার পর মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষ গুলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে হতদরিদ্র ভুমিহীন মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে এসব ঘর। ২০ জুন রবিবার প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দিবেন।
Leave a Reply