রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের বাঘডোহরা চরবাসীকে বসবাস ও চাষাবাদ জমিতে থেকে উচ্ছেদে মাইকে প্রচার করে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বাঘডোহরা আশ্রয়ন বাজারে বুধবার প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানায়, সরকার ২’শ ৫০ পরিবার বসবাস করার জন্য ১৯৯৮-৯৯ ইং সালে বাঘডোহরা চরে একটি আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরী করে প্রতি পরিবারের নামে ৩২ শতাংশ করে জমি কবুলিয়ত দলিল দেওয়া হয়। উক্ত জমিতে বসবাস করাসহ আরো কিছু জমিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ ও বাঁশ, গাছ, পুকুর দিয়ে জীবন-যাপন করে আসছে। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান বসবাসরত বাঘডোহরা চরে লাল নিশান টাঙিয়ে এলাকাবাসীকে বসবাসের জমিসহ চাষাবাদের জমি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে মাইকে প্রচার করে। বাড়ি রাখলে এবং জমি চাষাবাদ করলে শতক প্রতি চেয়ারম্যানকে ২ হাজার করে টাকা দিতে হবে। যারা চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করবে তাদেরকে হত্যার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এলাকার জহুরুল, কালাম,রমিচা,কারিমা,রফিকুল, আতিয়ার, মনছুর, মনোয়ারুলসহ অনেকে জানান, আমরা ৩০/৩৫ বছর ধরে বসবাসসহ চাষাবাদ করে জীবন-যাপন করে আসছি। হঠাৎ চেয়ারম্যান মাইকিং করে বাড়ি সরে নিয়ে জায়গা জমি ছেড়ে দিতে বলেছে। জায়গা ছেড়ে না দিলে শতক প্রতি ২ হাজার করে টাকা দিবে হবে। আমরা অসহায় জায়গা ছেড়ে দিয়ে কোথায় যাব।
তারা আরো জানান, জমিতে আমন চারা রোপন করতে গিলে চৌকিদার এসে তা বন্ধ করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কৃষক মমিন আলী। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার ২ শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল মুঠোফোনে জানান, চরের খাঁস জমির দখল নিয়ে অনেক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মার্র্ডারের ঘটনাটিও খাঁস জমিকে কেন্দ্র করে হয়েছে। এছাড়া কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি নিজেদের ইচ্ছামত জমি দখলে নিছে আবার অনেকে চাষাবাদের মত দখল পায় নাই। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নিয়ম মোতাবেক কতৃপক্ষের কাছে আবেদনের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি বাড়ি উচ্ছেদ ও শতক প্রতি টাকা দাবি অস্বীকার করেন।
Leave a Reply