বেরোবি প্রতিনিধিঃবেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ক্যাম্পাসে উপস্থিতি ও সাক্ষাতের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটকের সামনে বসে ৩ মার্চ ২০২০ দুপুর একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
কর্মসূচির সময় উপস্থিত ছিলেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মতিউর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. নিত্য ঘোষ, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কমলেশচন্দ্র রায়, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নীরব, বেলাল উদ্দিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমাইদা, ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ।
অনেক দিন উপাচার্যকে না পেয়ে তার কার্যালয়ের দরজায় ১১ ফেব্রুয়ারি সেঁটে দেওয়া স্মারকলিপি খুলে ফেলার প্রতিবাদে এবং পুনরায় টাঙানাদের দাবিতে গত ২৬ তারিখ রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত দিয়েছিল অধিকার সরক্ষা পরিষদ। আজ সেই ব্যানার প্রক্টারের কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে পুনরায় উপাচার্যের গেটে সেঁটে দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রয়ারি ২০২০ অধিকার সুরক্ষা পরিষদ উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপাচার্যকে না পেয়ে উপাচার্যের দরজায় একটি ব্যানার আকারে একটি স্মারকলিপি সেঁটে দেয়। এর কয়েকদিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের একটি হাজিরা খাতা টাঙিয়ে দেয় অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। গতকাল পর্যন্ত ৯৯০ দিনের মধ্যে উপাচার্য মাত্র ২২৭ দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৬৩ দিন।
উপাচর্যের বিরুদ্ধে প্রধানত অভিযোগ তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না। ক্যাম্পাসে না থেকেই তিনি বিভিন্ন বিভাগে প্রায় অর্ধশত কোর্স পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেগুলোর কোন ক্লাশ ছাড়াই সেগুলোর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ছে। সেই কোর্স পড়ানো বাবদ উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ লাখ লাখ টাকা পারিতোষিক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশশতাধিক অভিযোগ এনেছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের শিক্ষকগণ। আইন, নিয়ম লঙ্ঘন, নিয়োগে অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতিসহ অনেক অভিযোগ তার সম্পর্কে উত্থাপতি হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রয়ারি ২০২০ “বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপিতে অনুমোদিত ড্রয়িং ও ডিজাইন পরিবর্তন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমি না নিয়ে ভবন নির্মাণ করা ও অনুমোদিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন অনেক খাতে বরাদ্দ না থাকা সত্বেও সেসব খাতে অনেক টাকা ব্যয় করার কারণে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :