1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে ৮ ইউপি সদস্যের অভিযোগ - রংপুর সংবাদ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকাসহ ছয় বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই:ইসি আলমগীর হাতীবান্ধায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গণসংযোগে ব্যস্ত মাকতুফা ওয়াসিম বেলি খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি : রিজভী উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি পরিতাপের বিষয় বিএনপি ১৭ এপ্রিল, ৭ মার্চ পালন করে না সময় মানুষকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেন হাতীবান্ধায় নির্বাচনে বৈধতা পেলেন ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী, বর্জন জামাত নেতার

মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে ৮ ইউপি সদস্যের অভিযোগ

আমিরুল কবির সুজন,মিঠাপুকুর 
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১
  • ৪১৫ জন নিউজটি পড়েছেন

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৩নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলিপ পাইকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। এছাড়াও উর্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলিপ পাইকার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, নন- ওয়েজ প্রকল্পগুলোতে নিজেই প্রকল্প চেয়ারম্যান হয়ে নামমাত্র কাজ করে, ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন। গাছ বিক্রি ও বন বিভাগের উৎস্য হতে আয়ের টাকা নিজের পকেটে রাখেন। নানা ওজুহাতে বসতবাড়ির কর আদায় করলেও তা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলিপ পাইকার।

এছাড়াও ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের তালিকা করার সময় একক অধিপত্যে তালিকা করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে মিটিং বা সমন্বয় না করে নিজের মতো তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দেন। প্রতি মাসে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে মাসিক সভা পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও নিয়মিত তা না করে নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এমন ব্যপক অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ৮জন ইউপি সদস্য।

অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন,
আব্দুল খালেক, নুর মোহাম্মদ, রজব আলী মন্ডল, আব্দুল জলিল, আবেদ আলী, আবু তালেব, লাভলী ও মৌলুদা বেগম।

অভিযোগকারীরা বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হই। আমরা বাধ্য হয়ে দুর্নীতি বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু অভিযোগ করার পর চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তবুও আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রত্যাশা করছি।

অভিযুক্ত গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলিপ পাইকার বলেন, ইউপি সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তাঁরা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমি সকল সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই সবকিছু করার চেষ্টা করেছি। জনগণ জানে আমি কেমন চেয়ারম্যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun