চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩তম গ্রেডের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বেতন ও বাড়ি ভাড়া বকেয়া হিসেবে পাবেন তারা। এমনকি আসন্ন ঈদুল ফিতরের বোনাস উচ্চতর গ্রেডের চেয়ে যতটুকু কম পেয়েছেন তাও পাবেন বকেয়া হিসেবে।
দীর্ঘদিন ধরে ১১তম গ্রেডের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনের পর ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর উচ্চতর এই গ্রেড নির্ধারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় অর্থ বিভাগ। ওই চিঠিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়। আর প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১১ তে উন্নীত করা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের আদেশ জারি করে। কিন্তু নতুন এই গ্রেড অনুযায়ী নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণে অনেক সহকারী শিক্ষকের বিদ্যমান বেতনের চেয়ে বেতন কমে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে যাদের বেতন কমে যাচ্ছে তাদের ওই গ্রেডের একধাপ ওপরে বেতন নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়ে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছর ১২ আগস্ট অর্থ বিভাগ সমস্যা নিরসন করে যাদের বেতন কমে যাচ্ছে তাদের একধাপ ওপরে বেতন নির্ধারণ করে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি বেতন পাঠানো নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ অপশন না থাকায় ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাওয়ার বিষয়টি আটকে যায়। অন্যদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার শিথিলের অপশন আইবাস সফটওয়্যারে না থাকায় নতুন করে ১৩তম গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি জটিলতা তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অর্থ বিভাগকে চিঠি দিয়ে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান। এরপর গত ২৯ এপ্রিল আইবাস সফটওয়্যারে বেতন নির্ধারণের সব অপশন যুক্ত করা হয়। উচ্চতর গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে সহকারী শিক্ষকরা ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর থেকে এই সময় পর্যন্ত ১৪ ও ১৫তম গ্রেডে বেতন পান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারে সব অপশন সংযুক্ত হওয়ার আগেই ঈদ বোনাসের টাকা পাঠানো হয় শিক্ষকদের। ফলে আগের গ্রেডে বোনাসের অর্থ পান তারা। অধিদফতর বলছে, বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার টাকা বকেয়া হিসেবে পাবেন শিক্ষকরা।
Leave a Reply