ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বাড়ির পাসের আম গাছের ডাল থেকে আসাদ (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুন) উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট কুমরগঞ্জ গ্রামের সানির পুকুর পাড়েরর কুমিরের আম বাগানের একটি আম গাছ থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
মৃত আসাদ ঐ গ্রামের জাহিরুল ইসলামের মেয়ে জামাই ও উপজেলার দূলর্ভপুর বড়পুকরা গ্রামের জাহেরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এ বছর গত ২৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই গ্রামের জাহিরুলের মেয়ে জুঁই (১৮) এর সাথে আসাদের বিয়ে হয়। সে সুবাদে বৃহস্পতিবার সস্ত্রীকে নিয়ে শুশুর বাড়ীতে আসে আসাদ। পরদিন আজ শুক্রবার শশুর বাড়ির অদূরে আম গাছে পড়নের লুঙি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আসাদের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা সঠিক করে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ।
মৃতের এক নানী শাশুড়ী করিমন জানান, নাতি জামাই আসাদকে পাওয়া যাচ্ছেনা এমন খবরে তিনি তার নাতনি জুঁইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, তারা ছাড়াও আরো কয়েকজন আত্নীয় আসে জাহিরুলের বাড়িতে। রাতের খাওয়া শেষ করে ওই আত্নীয়রা ফিরে যায়। আর জুঁইয়েরা যারযার মতো ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ ভোর রাতে জুঁই বমি করতে দরজা খুলে বের হয়। এ সময় জুতা ছাড়াই ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে যায় আসাদ। তার এমন কান্ড দেখে জুঁই তার মা বাবাকে ডেকে তুলে আসাদকে ডাকাডাকি করে খুঁজতে থাকে। এরই একপর্যায়ে বাড়ীর ৫শ গজ দুরে আম বাগানের একটি গাছের ডালে আসাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা। তবে রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। মৃত আসাদের খালাতো ভাই শাহাজত বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসাদের শুশুর জাহেরুল, শাশুড়ি মেরিনা, স্ত্রী জুঁই ও শ্যালক মিলনকে থানায় নেওয়া হয়েছে বলেও ওসি জাহিদ ইকবাল জানান।
Leave a Reply