কাজ দিয়ে নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই ইদানীং শিরোনামে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে জড়িত কাদের খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক থেকে নিখিল জৈনকে বিয়ে এবং সাম্প্রতি যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খবরের শিরোনামে তিনি। বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না তার।
প্রেম করে বিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান এবং ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের। ২০১৯ সালে তুরস্কে গিয়ে বিয়ে করছিলেন তারা। যদিও বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি।
সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ খুললেন যশের প্রেমিকা। জানালেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে এই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত। যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়।
নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সময় আবার প্রেমে পড়েন নুসরাত। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নাম জুড়ে যায়। তার আগে থেকেই পর্দায় দু’জনের সমীকরণ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মাতামাতি ছিল। পর্দার প্রেম ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হয়।
২০১৭ সালে যুগলের প্রথম সিনেমা ‘ওয়ান’। তখন থেকে তাদের আলাপ, বন্ধুত্ব। তারপর ২০২০ সালে ‘এসওএস কলকাতা’-র শুটিংয়ের সময় থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে যশ এবং নুসরাতের মধ্যে।
যশের সঙ্গে অজমের দরগাতে গিয়েছিলেন নুসরাত। এরপর মদন মিত্রের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও দেখা যায় ‘যশরত’-কে।
শোনা যায় দক্ষিণেশ্বরেই তাদের বিয়ে হয়। এরপরে দ্রুত বদলে যেতে থাকে নিখিল-নুসরাতের সম্পর্কের সমীকরণ। নুসরাত বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে একা থাকতে শুরু করেন। যে ফ্ল্যাটের অর্ধেক টাকা নিখিলের দেয়া। যশ এখন বেশির ভাগ সময় ওই ফ্ল্যাটেই নুসরাতের সঙ্গে সময় কাটান।
বেশ কয়েক দিন হল যশ ও নুসরাত নিজেদের প্রেম কাহিনি সামনে আনতে শুরু করেছেন। নেটমাধ্যমে একে অপরের তোলা ছবি দেয়া থেকে শুরু করে একই ছবি নিজেদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেয়া থেকেই বোঝা যায় সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে লুকোছাপা বা জড়তা কেটে গিয়েছে।
৪ জুন নুসরাতের জীবনের সুখবর ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, তিনি মা হতে চলেছেন। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহলের খবর, ১০ সেপ্টেম্বর সন্তান আসার সম্ভাব্য তারিখ। নুসরাতের সন্তানের বাবা কে? ঘনিষ্ঠ সূত্রে যশের নাম উঠে এলেও এ বিষয় নিয়ে নুসরাত মুখ খোলেননি।
কিন্ত নিখিলের ওপর তোপ দাগতে ভোলেননি অভিনেত্রী। ‘নুসরাত বহু দিন ধরে আমার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছে’। নিখিলের এই বক্তব্যকে সরাসরি অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, আমি বরাবর আমার বোনের পড়াশোনার এবং পরিবারের সমস্ত খরচ একা হাতে বহন করেছি। যে ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই, কেনই বা তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে যাব আমি? অভিযোগ তুললে প্রমাণ দিতে হবে।
নুসরাত প্রশ্ন তুলেছেন, নিজেকে ‘ধনী’ বলে জাহির করা ব্যক্তি কেন মধ্য রাতে নুসরাতের অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলে? কারো নাম না করে নুসরাত বললেন, যে মানুষ দাবি করছেন ‘ধনী’ বলে আমি তাকে ব্যবহার করেছি, আমাদের বিচ্ছেদের পরেও তাকে কেন লুকিয়ে আমার টাকা ব্যবহার করতে হয়?
নুসরাতের প্রশ্নের জবাব নিখিল দেননি। তিনি জানিয়েছেন আদালতে গিয়েই যা বলার বলবেন।
Leave a Reply