ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা হলহলিয়া নদীতে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের ভয়ে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরেও কোন লাভ হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা কারো কথা তোয়াক্কা না করেই দিনকে দিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চরগয়টা পাড়া গ্রামের পাশে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্রের শাখা হলহলিয়া নদী হতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে গোলাম হোসেন (৩২) পিতা মৃত পরশ আলী, সুজন মিয়া (সুজা) (৪২) পিতা মৃত তাহেজ উদ্দিন তাদের বসত বাড়ি উচু করার জন্য বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ৩০/৩৫ ফিট গভির করে মাটি উত্তোলন করছে তারা।
এলাকাবাসির অভিযোগ, হলহলিয়া শাখা নদী শুধু গভীর গর্তই হচ্ছিল না, বর্ষা মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তীত হয়ে নদীর পার ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীনে হুমকির মুখে পরেছে আবাদীজমি এবং বসতভিটার মালিকগণ । এ বিষয়ে জমির মালিক আমিনুল ইসলাম,বেলাল হোসেন,আজগর আলী আফতার হোসেন,সোনার আলী, অভিযোগ করে বলেন, ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ না করলে আমাদের আবাদি জমি ও বসতভিটা সব আগামী বর্ষা মৌসুমেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বাড়ি হতে ১০-১৫ ফিট দূরেই ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে। ফলে একটা ভারি বৃষ্টি হলেই বসতবাড়ী সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ।
এ ব্যপারে মাটি ব্যবসায়ী ময়নাল, সুজন মিয়া (সুজা) বলেন, পূর্বে যেভাবে বালু তুলেছি সেভাবেই বালু তুলতে থাকবো কারো বাপের ক্ষমতা থাকলে যেন বন্ধ করতে আসে। কত ধানে কত চাল দেখাবো।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনকারি প্রতিটি ড্রেজার মালিককের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply