ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরকার একটি একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকার দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর থেকে মুক্তি পেতে হবেই। মুক্তির কোন বিকল্প নেই। এ জন্য কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। এ জন্য সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার মহানগর নাট্যমঞ্চে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিজেদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তাদেরকে চুনোপুঁটি ধরতে হচ্ছে। চুনোপুঁটি ধরে আর ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন এর হিসাব কোথায়? শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার টাকা লুট করে নিয়েছেন তার হিসেব কোথায়? তার হিসেব থাকবে না। এ কারণেই যে, তারা কেউ আপনাদের মন্ত্রী, কেউ আপনাদের উপদেষ্টা, আবার কেউ আপনাদের আপনজন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারে যারা আছেন তারা ৭ নভেম্বর স্বীকার করে না। কারণ তারা তো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বেই বিশ্বাস করে না। তবে যারা গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক দেখতে চায় তারাই কেবল ৭ নভেম্বর স্বীকার করে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীবর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।