রংপুরে আটকেপড়া উর্দুভাষী বিহারী সম্প্রদায়ের স্থায়ী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ ৭ দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এসপিজিআরসি নেতৃবৃন্দ আরডিসিসিএস আলমনগরে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির যূগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রসিক ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ।
এসময় এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীসহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় ৭০টি ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী বিহারী সম্প্রদায়ের সংগঠন এসপিজিআরসি তাদের দাবি আদায়ে কাজ করছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক উর্দুভাষী বিহারী সম্প্রদায় প্রায় ৫০বছর যাবৎ অর্ধাহরে-অনাহারে জীবন-যাপন করে আসছে। আমাদের মরহুম নেতা আলহাজ এম. নাসিম খান জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও বাংলাদেশ সরকারের সহিত একাধিকবার যোগাযোগ ও সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে আশ্রয়, বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ অদ্যবধি তাদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার ১৩ বৎসর অতিবাহিত হলেও ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী বিহারী সম্প্রদায়ের ভাগ্য পরিবর্তন হয় নাই। নারায়নগঞ্জে বসবাসরত উর্দুভাষীদের ক্যাম্প উচ্ছেদের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ঢাকার মিরপুর, সেকুশন-১১’র কয়েকটি ক্যাম্প বিনা নোটিশে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ২ মাস যাবৎ উচেছদকৃত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে তাদের সন্তান-সন্ততীদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে গৃহহীনদের গৃহ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিহারী সম্প্রদায়ের পরিবারগুলো উপেক্ষিত। সৈয়দপুর, রংপুর ও বদরগঞ্জে রেলের জায়গায় বসবাসরত উর্দুভাষীরা উচ্ছেদের আতংকে রয়েছেন।
বক্তারা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত যারা যেখানে যে অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে সেখানে সেই অবস্থায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। সেই সাথে এসপিজিআরসির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলার কয়েকজন নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা রয়েছে।
এগুলো সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সকল মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।
Leave a Reply