নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত ফাইজুল বারী নামে উপ- সহকারী কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী এক কৃষক।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ফাইজুল বারীর বিরুদ্ধে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কালীগঞ্জ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে কৃষক রওশন আলী গত ০১ জুন ২০২১ ইং তারিখে রংপুর অন্চলের কৃষি সম্প্রসারণ এর অতিরিক্ত পরিচালক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি সম্পাদক ডিমলা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুলিপি দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
কৃষক রওশন আলী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে সেচ পাম্প (শ্যালো মেশিন) দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০ মাস পূর্বে ৫ হাজার টাকা ও পাঁচ জন কৃষকের পাসপোর্ট সাইজের এক কপি করে রঙিন ছবি এবং প্রতেকের পরিচয় পত্রের ফটোকপি সুকৌসলে জমা নেন। টাকা দেওয়ার এক বছর পার হলে কোন ধরনের মেশিন না পেয়ে উক্ত বিষয়ে (এসএএও) ফাইজুল বারীর সাথে যোগাযোগ করলে মেশিন দেয়ার কথা বলে কিন্তুু না দিয়ে দিনের পর দিন কালক্ষেপণ ও তালবাহানা করে আসছিলো।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন উক্ত ব্যাক্তির সাথে পরবর্তী ৩/৪ মাস পরে যোগাযোগ করলে তিনি ডিমলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে লালমনিরহাট জেলায় বদলি হয়েছেন বলে জানান।
অফিস সুত্রে যানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় বদলি হননি তিনি উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন থেকে একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নে বদলী হয়েছেন। বিভিন্ন সুত্রে যানা যায়, উপজেলা পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে দায়ীত্বকালীন উপ- সহকারী কৃষি অফিসার (এসএএও) ফাইজুল বারী দীর্ঘদিন উক্ত ইউনিয়নে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছিলেন।
সুত্রে জানা গেছে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার কৃষক ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো। এছারা পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে অবস্থিত ঠাকুরগঞ্জ হাট বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের নিকট থেকে লাইসেন্স করে দেয়ার নামে অর্থ নেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ফাইজুল বারীর সাথে অভিযোগের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেকেন্দার আলীর সাথে কথা হলে তিনি অভিযুক্ত (এসএএও) ফাইজুল বারীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শহীদুল ইসলাম এর কাছে বর্তমান তদন্তাধীন রয়েছে বলেন।
তিনি আরো বলেন, অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করে তাকে শাস্তিযোগ্য বদলির ব্যাবস্থা করা হবে।
Leave a Reply