করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলা ও মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট (প্রস্তাবিত) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনা আসতে পারে। একই সঙ্গে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় থাকবে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়। এসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম বাড়তে ও কমতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে বাজেটের প্রভাবে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে সেগুলো হলো:
আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক কমার কারণে মাইক্রোবাস ও হাউব্রিড গাড়ির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। একই কারণে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামেরও দাম কমতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান ২২টির পাশাপাশি আইটি খাতের আরো নতুন পাঁচটি সেবাকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস ও ফ্রিল্যান্সিং। এতে এসব সেক্টর থেকে কম মূল্যে সেবা মিলতে পারে।
অন্যদিকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য শিল্পোদ্যোক্তা তৈরিতে এমন সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে এসব সেক্টরের যন্ত্রপাতির দাম কমবে।
দাম কমার তালিকায় যুক্ত হতে পারে কম্পিউটার, মোবাইল, সিমেন্ট ও স্টিল শিল্প। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব খাতে প্রত্যাহার হচ্ছে আগাম কর। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মোবাইল ফোন, সিমেন্ট ও রডের দামও কমতে পারে।
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের (এসি-ফ্রিজ) ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা অব্যাহত থাকছে। ফলে দেশে উৎপাদিত এসব পণ্য কম দামে মিলতে পারে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক, পিপিই, গ্লাভস, গগলস, ভাইরাস শনাক্তের কিট, নানা ধরনের কেমিক্যাল ও মেডিকেল পণ্য আমদানিতে সব ধরনের কর মওকুফ করা হয়েছে। এতে এ জাতীয় পণ্য কম দামে মিলবে। বিশেষ কর সুবিধা পেতে পারে হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি সেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ।
Leave a Reply