মাহির খান:
জন্মের পর থেকেই সমাজে অনেক নিয়মনীতি ভয়ভীতি দেখেছি যা সমাজে সামাজিক মুল্যবোধ ও চরিত্রগঠনে ব্যাপক যোগান দিতো। ছেলেবেলা থেকেই বাবা-মায়ের উপদেশ ছিল চলতে পথে বড়দের ছালাম সম্মান দেয়ার সেটাই করতাম। যদিও আমার প্রাথমিক পাস করতে হয়েছে গ্রামের সেই ঐতিহ্যবাহী ব্র্যাক স্কুলে। ব্র্যাক স্কুলটি ছিল শহর থেকে সুদুর গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে। সকাল ৭ টা বাজতেই যেতে হতো স্কুলে।
যদিও ব্র্যাক স্কুলটি ছিল শহর থেকে সুদুর গ্রামে তবুও আমার সহপাঠীদের সঠিক শিক্ষাদীক্ষা দিয়েছিলেন স্কুলের আপা সাবিনা ইয়াসমিন বনানী। লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষাও পেতাম আমরা আপার কাছ থেকে।
স্কুলে যাওয়ার পথে অনেক মুরুব্বিদের সাথে দেখা হতো তাদের সম্মানে ছালামও দিতাম। লেখাপড়া ছাড়া ছিল না কোন প্রতিযোগীতা। বড়দের হিংসুটে নজরও ছিল না ছোটদের প্রতি। বরং বড়দের দেখলে মনে ভীতি হতো কী যে বলে।
আজকাল চলার পথে ৭-১৫ বছরের ছেলেদের দেখছি তাদের নীতি-ভীতি। তাদের কাছে বড়দের সম্মানতো নেই বরং আদব যেন শ্রীঘরে রেখে চলাফেরা করেন তারা।
গ্রামের সেই নীতি-ভীতি থাকলে আজ তারাও বড়দের ছালাম সম্মান দিতো। যদিও তারা এখন অনেকেই শহরের স্কুলে পড়ালেখা চালাচ্ছেন।
যদিও প্রাথমিক কেটেছে গ্রামের সেই ব্র্যাক স্কুলে তবুও মনে ছিল সবাইকে সম্মান দেয়ার নীতি এবং মনে ছিল ভুল করার ভীতি। চলা পথে দেখছি নীতি-ভীতির চরম অবক্ষয়। (পর্ব চলমান)
লেখক:
মোঃ মাহির খান
সহ:সম্পাদক,রংপুর সংবাদ
Leave a Reply