অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি প্রকল্পে দেশের টাকা মারার কোনো সুযোগ রাখেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাওয়ার অফার কখনো নেননি। জনগণের ভোটে না জিতে ক্ষমতায় আসা সরকার কতটা ভয়ংকর হয়, সেই অভিজ্ঞতাও আছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি চালু হয় জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। পরে তা সম্প্রসারিত হয়েছে এরশাদ, খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। যারা এখন গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্মটা যেন কীভাবে সেটি কি তারা ভুলে গেছেন? ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, গণতন্ত্রহীনতা এগুলো তো জিয়ার আমলেই শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে আজ অনেক সমালোচনা শুনি। বিএনপির সময় কি হয়েছিলো, সেসব ভুলে গেছে। সেই দলটির এক নেতাকে (দৌড় সালাউদ্দিন) তো পানি-বিদ্যুতের জন্য ধাওয়া দিয়েছিলো জনগণ।
দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদই বিএনপি আমলের চিত্র ছিলো। তাদের দুঃশাসনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় বলেও দাবি করেন সরকার প্রধান।
জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে যায়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতি-সাংবাদিক কেউ নিরাপদ নন। প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দরজায় লাথি মারার অভ্যাসও দলটির আছে তো। এহেন কোনো অপকর্ম নাই যা, তারা করেনি। আসলে বিএনপির নেতারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পে টাকা মারার কোনো সুযোগ রাখিনি। আমাদের সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে মানুষ, এটা স্বীকার করে নেন। অহেতুক সমালোচনার জন্য কথা বলবেন না। যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে, ততক্ষণ কাউকে পরোয়া করি না। জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না
‘ভোগ করবেন সবাই, অথচ কথা বলবেন অহেতুক তা তো হয় না। দলের দিকে একটু তাকিয়ে নেবেন। নিজেদের অপকর্মগুলো ভুলে যাবেন না,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
Leave a Reply