গাইবান্ধা শহরের পুরাতন জেলখানা মোড়ে মধ্যরাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ফয়সাল মামুনের (২৮) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ব্যারাকের নির্মাণাধীন ভবনের তিনতলার সাটারিংয়ের ওপরে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনার পর সেখানে শত শত মানুষ ভিড় করেন। নিহত সার্জেন্ট মামুনের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে নির্মাণাধীন তিন তলায় যান। এ সময় তিনি অন্যমনষ্ক ছিলেন। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তিনি জড়িয়ে গেলে আগুন জ্বলে ওঠে এবং সঙ্গে সঙ্গে মামুনের একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় ৩০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলায় এলোমেলো থাকা তারের কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার সেখানে যান। পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কেন সার্জেন্ট মামুন সেখানে গেলেন এবং কি কারণে ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত নিশ্চিত করে বলা যাবে।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে মামুনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট ফয়সাল মামুন তার আন্তরিকতা ও বিনয়ের কারণে সাধারণ মানুষের প্রিয়ভাজন ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
Leave a Reply