দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে গতকাল ৩০শে মে (রবিবার) থেকে আগামী ০৩ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির সর্তকতার অংশ হিসেবে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষের চাহিদার আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, ‘দেশে গত কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার মানুষজন, বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তাই নিজের ও এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে গত ২৫ মে রাতে বন্দর এলাকায় পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটের উপস্থিতিতে বন্দর সংশ্লিষ্ট, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে বন্দরের আমাদানীÑরপ্তানী কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানানো হয়।
জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, চালক সহ কর্মজীবি মানুষজন। আর বাংলাবান্ধা সহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলার তিন দিকে ভারত সীমান্ত থাকায় স্থানীয় ও উপজেলাবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তক্রমে ৩০শে মে রবিবার থেকে আগামী ০৩ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদারি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
Leave a Reply