স্টাফ রিপোর্টার:
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রংপুর। সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। এরই মধ্যে দেশে কয়েক বছরের তাপমাত্রার রেকর্ডও ভঙ্গ হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট এই অবস্থা থাকবে আরও বেশ কয়েকদিন। বাড়ির বাহিরে চলার পথে অনেকেই তাপ এড়াতে ব্যবহার করছেন ছাতা। এ জন্য বৃষ্টির প্রতীক্ষায় দিন কাটছে তাদের।
এদিকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রংপুরে মৃদু বাতাস বইতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। এরই মধ্যে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান এক ক্ষুদে বার্তায় আগামী ২০ এপ্রিল থেকে রংপুর বিভাগে বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
ওই ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানান, বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। রংপুর বিভাগসহ দেশের আকাশ অনেক এলাকায় প্রায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে রংপুর বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের অনেক জেলায় গতকালের (১৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করার শঙ্কা রয়েছে। সোমবার ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে ওইদিন ঢাকার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় রংপুর জেলায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আজ সেখানে একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজ পুরো রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে এসেছে।
Leave a Reply