মাহির খান:
চৈত্রের গরম আর রমজান দুটো মিলেই বেড়েছে লেবুর দাম। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা এক গ্লাস লেবুর সরবত খাবেন স্বস্তিতে, সেখানেও মূল্য বৃদ্ধি। রোজার আগেই দাম ঠিক ছিল। এখন প্রতি পিস লেবু ১০ টাকার নিচে পাওয়াই যায় না।
লেবুর দাম এমনটি দেখা গেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাজারগুলোতে। কিন্তু রোজার আগে লেবুর দাম এতোটা বাড়েনি বলে অভিযোগ করছেন বাজার করতে আসা ক্রেতারা। হাতীবান্ধা হাটখোলা বাজার,মুক্তিযোদ্ধা বাজার সরেজমিনে গিয়ে ৪০ টাকা হালি (৪ পিস) এমনকি ৫০ টাকা হালিতেও লেবু বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুব কম সংখ্যক জায়গায় ২৫-৩০ টাকা হালিতে লেবু বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক পিস লেবুর দাম সর্বোচ্চ ৪-৬ টাকা। অথচ হাতবদল হয়ে খুচরা পর্যায়ে ভোক্তার কাছে ১০ টাকার নিচে বিক্রিই হচ্ছে না, উল্টো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
রোজা শুরুর আগেও সবচেয়ে ভালো মানের লেবু ২০-২৫ টাকা হালির মধ্যেই পাওয়া যেত। সেই ভালো মানের লেবু একটু বড় আকারের হলেই এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা আব্দুর রশিদ (৪২) জানান, বাজার করতে আসলে ক্রেতাদের স্বস্তি আছে বলে মনে হয় না। যখন যে জিনিসের চাহিদা থাকে সেটার দাম হু হু করে বাড়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শুনিনা ওমুক একটা জিনিসে দাম কমেছে। রোজায় লেবু শুধু নয় অন্য সময়ের তুলনায় পাকা পেঁপে, ডাব-আনারসের দামও বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বাজার করতে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন,যে হারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে আমাদের বেতন বাড়ছে না। বাজার মনিটরিংয়ে সরকারের বেশী নজরদারি জরুরি। এভাবে বাজার মূল্য উর্ধগতি হলে ডাল-ভাত পাওয়াটাও দুষ্কর হবে।
বাজার মনিটরিং বিষয়ে জানতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা(এসিল্যান্ড) লোকমান হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন,প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং হচ্ছে। গত ২৩ তারিখে বাজার মনিটরিংয়ে এসিল্যান্ড ৪ জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন।আমরা খোঁজখবর রাখছি, আরও অভিযান হবে।কেউ অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Leave a Reply