মাহির খান:
দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। রূপসী-গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর আজ বিলুপ্তির পথে। এক সময় দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে সেই চিরচেনা খড়ের ছাউনির ঘরের প্রচলন ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে খড়ের তৈরি ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ২-৪টি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও সেই সময়ের খড়ের তৈরি ঘর তেমনটা আর চোখে পড়েনা।
বর্তমানে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হচ্ছে। তবে আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত।গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে। উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন ব্যবহার করতো।
হাতীবান্ধা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত বলেন,আওয়ামী লীগের উন্নয়ের ছোয়ায় আজ দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। তেমনি লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপির উদ্যোগে হাতীবান্ধা উপজেলার প্রতিটি রাস্তা পাকা হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের বাসিন্দা জামাত আলী(৪০) জানান, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়ীর সবকয়টি ঘর খড় ছাউনির ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায এখন আর আমাদের বাড়ীতে খড়ের ঘর নেই। কিছুদিন আগে খড়ের ছাউনি ফেলে টিনের ছাউনি দেই। শীত ও গরমে উভয় দিনে ছনের ছাউনির ঘর বেশ আরামদায়ক। এছাড়াও বছর বছর খড় পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে অনেকে খড়ের ঘরকে ঝামেলা মনে করেন। এখন খড়ের ঘর নেই বললেই চলে।
মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে। তবে আবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে ২-১ টি খড়ের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন।
Leave a Reply