1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
পল্লী বিদ্যুতের চরম উদাসীনতা বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে মৃত্যু ঝুঁকি! - রংপুর সংবাদ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

পল্লী বিদ্যুতের চরম উদাসীনতা বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে মৃত্যু ঝুঁকি!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৮ জন নিউজটি পড়েছেন

সিনিয়র রিপোর্টার: 
লালমনিরহাটে ভরা বোরো মৌসুমে সেচ লাইন সংযোগ অন্যত্র সরানোর হিড়িক পরেছে। এতে বোরো চাষারাসহ বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই বিদ্যুৎ সংযোগের স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এসব কাজে সহযোগীতা করছেন কথিত লাইনম্যান। তারা টাকার বিনিময়ে অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। এতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি ঝুলন্ত তারের কারণে মৃত্যু ঝুকির আশংকা দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্তারা। তারা নিজেদের দায় উল্টো উপজেলা সেচ কমিটির উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে এই দূর্ভোগের শেষ কোথায়?

সরেজমিনে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, তৈলক্ষ্য নামের একজন সেচ পাম্প মালিক একশ ৩০ ফিটের মধ্যে (যার বহিঃ নং-১৬৫) সেচ বডিং দেখিয়ে আদিতমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কয়েক বছর সেচ পাম্প চালিয়ে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেচ পাম্প বডিংটি প্রায় ৭শ ফিট দুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুরো কাজটি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কথিত লাইনম্যানের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা বলছেন তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এছাড়াও ভাদাই ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে শুধু তৈলক্ষ্যই নয়। সেখানে আরও ৫/৭ জন সেচ পাম্প মালিক ১’শ ৩০ ফিটের মধ্যে বডিং দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিলেও কিছুদিন পর কথিপয় দালাল চক্রের মাধ্যমে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে ম্যানেজ করে বডিং সরিয়ে নিয়েছেন।

ভাদাই ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য বিনয় কুমার বলেন, প্রথমে নিয়ম অনুযায়ী বডিং করে সেচ সংযোগ নিলেও এখন এসব নিয়ম মানার কোন বালাই নেই। যেভাবে সেচ সংযোগের তারগুলো ঝুলে আছে এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

আদিতমারী বিন্নাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা মোকলেছ মিয়া বলেন, এলাকার প্রায় ৬/৭ টি সেচ পাম্প মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এসব সেচ পাম্পের ঝুলন্ত তারের কারণে আমাদের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে আদিতমারী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) এএসএম রকিবুল হাসান বলেন, নিয়ন অনুযায়ী একশ ৩০ ফিটের মধ্যে সেচ পাম্পের সংযোগ দেয়া হয়। এরপর যদি কোন গ্রাহক অফিসকে অবগত না করে সেচ পাম্প বডিং স্থান্তরিত করেন তাহলে সেটা চরম অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun