রবিউল ইসলাম বাবুল,লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে হাওলাদ করা সাব-রেজিষ্টার দিয়ে চলছে জমি দলীল। সপ্তাহে একদিন অফিস চলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সুবিধাভোগীদের।
সোমবার(১৬ জানুয়ারী) সকালে আদিতমারী সাব-রেজিষ্টার অফিসে গিয়ে দেখা গেলো এই চিত্র। এর আগে আদিতমারী সাব-রেজিষ্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এ,এইচ এস মিরাজ সৌরভ। তিনি গত১৪ নভেম্বর বদলী হয়ে অন্যত্র চলে জান তার জায়গায় আদিতমারীতে এ পর্যন্ত কোন সাব-রেজিষ্টার যোগদান করেনি। ফলে জমি দলীল,ও জমি দলীল বিষায়ক জটিলতা সহ-নানা সমস্যায় ভূগছেন এ উপজেলার জমি ক্রয় বিক্রয়কারী সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আদিতমারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের পাশের উপজেলা কালীগঞ্জ থেকে হাওলাদ করা সাব-রেজিষ্টার দিয়ে সপ্তাহে একদিন অফিস কাজ পরিচালনার কাজ করা হচ্ছে।
সপ্তাহে একদিন জমি দলীল হওয়ার কারণে বেড়েছে দুর্নীতি হয়রানি। সাধারণ জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরতে হচ্ছে নানা জটিলতায়,যার যেমন ইচ্ছে তেমন করে উৎকোষ দাবি করছে। কাজ না হলে পরতে হচ্ছে নানা সমস্যায়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েক জন জমি ক্রেতা ও বিক্রতার সঙ্গে আলোচনা হলে তারা বলেন, ভাই আর বলিয়েন না এখানে সাব-রেজিষ্টার না থাকার কারণে আমাদের কে দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, না দিতে চাইলে বলে সাব-রেজিষ্টার ধার করা সপ্তাহে একদিন আসে না হলে একদিন ও দলীল হবেনা আপনাদের কাজ বন্ধ হয়ে থাকবে। তা ছাড়াও এ অফিসে চলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি।
এ ব্যপারে আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী( কেরনিক)সবুজ এর সঙ্গে সাক্ষতে আলোচনা হলে তিনি রংপুর সংবাদ এর সাংবাদিক কে বলেন। স্যার না থাকায় আমরা অনেক অসুবিধার মধ্যে আছি। সপ্তাহে একদিন ধারকরা সাব-রেজিষ্টার দিয়ে জমি দলীল হওয়ার কারণে বেড়েছে দুর্ভোগ, আমাদের কে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। চাপ থাকে প্রচুর,ঝগড়া মারামারি হওয়ার আশংকা থাকে। উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট আমার আবেদন জরুরী ভিত্তিতে নতুন সাব-রেজিষ্টার নিয়োগ দিলে এই উপজেলার জমি দলীল বিষায়ক সকল কাজের সমস্যার সমাধান হতো বলে আমি মনে করি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় | সম্পাদক: রেজাউল করিম মানিক | অফিস: ২য় তলা, দৌলত কমপ্লেক্স, গুপ্তপাড়া, রংপুর