রবিউল ইসলাম বাবুল,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এক ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ করেছেন।
রবিবার (২ জানুয়ারী) রাতে কনকনে ঠান্ডায় অফিস গাড়ীতে উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার জি,আর সারওয়ার ও প্রকল্মপ বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিন বত্রিশ হাজারী গ্রামে এ কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় ঐ এলাকার প্রায় ৩শোর ও বেশী হতদরিদ্র অসহায় খেটে খাওয়া দিন মজুর প্রচন্ড ঠান্ডায় গ্রামের রবিউল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকের বাড়ীর সামনের খোলা জায়গায় ঠান্ডা উপেক্ষা করে একটি শীতবস্ত্র পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে ছিলো কিন্তুু তারা এলেন বটে কিন্তুু কি নির্মম দৃশ্য,কম্বল পাওয়ার আশায় এসে কষ্ট পাওয়া মানুষ গুলো শীতে কাঁপছে চোঁখে মুখে আনন্দ ঠান্ডাকে জয় করার আশায়। অতঃপর শীত বস্ত্র বিতরণ হলো নাম মাত্র পেলেন ৫ জন। বাকিরা সব কষ্ট বুকে নিয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছেন আর বলছেন,
(ওমার গুলার আক্কেল নাই,হামাক গুলাক ডাকেয়া এই শীতোত খারা করি থুইছে। ওমরা এসি গাড়িত চরি বেড়ায় ওমরা হামার এই গরীবের কষ্ট কি বুঝবে)
অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে অশ্রু সজ্বল নয়নে কথা গুলো বললেন কম্বল না পেয়ে ফিরে যাওয়া শীতবস্ত্র হীন খেটে খাওয়া ঐ এলাকার অনেক মানুষ।
এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি,আর সারওয়ার এর সঙ্গে এলাকার দু,চার জন মানুষ কথা বললে তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন,আমরা জেলা প্রসাশক মহোদয় কে চাহিদা দিয়েছি কম্বল আসলে আপনাদের এলাকায় এসে দেওয়া হবে।
আপাতঃ ৫ টি কম্বল দেয়া হলো আপনারা -তো এখানে অনেক মানুষ প্রচন্ড শীতে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছেন, বাবুল সাহেব কে বলেছিলাম পাঁটি কম্বলের কথা, আর এখানে তো প্রায় অনেক মানুষ । পি,আই,ও মফিজুল ইসলাম বললেন,স্যার এই ৫ টি দিয়ে দেন এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে শীতবস্ত্র হীন মানুষ আরও বাড়তে থাকবে তার চেয়ে কে কি বলে বলুক
আমরা এই ৫টা কম্বল দিয়ে চলে যাই পরে দেখা যাবে সেই মোতাবেক পাঁচটি কম্বল দিয়ে চলে গেলেন।
এদিকে আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরকারী বিধি মোতাবেক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে ইউনিয়ণ পরিষদের মাধ্যমে এবং অনেক নেতা ও সূশীল সমাজের অনেক ব্যক্তি পি,আই,ও অফিস মাধ্যমে কম্বল পেয়েছেন। কেউবা ২ শো কেউবা ১শো কেউবা ৫০টি এভাবে অনেকেই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, ভাই এখন জোর যার মুল্লুক তার, যে যেভাবে পারে নিয়ে যাচ্ছে কে কাকে কি বলবে প্রতিদিন সন্ধা হলেই পি,আই,ও অফিসের এ দৃশ্য চোখে পরে। কি তামাশা? সব ফক-ফকা !!
Leave a Reply