একেতো শীত-তার ওপর কুয়াশা। দু’য়ে মিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। চাকুরীজীবীদের অফিস যাতায়াতে দুর্ভোগ-ফিরতে দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ। কৃষকদের ক্ষেত-খামারে কাজ করতে দুর্ভোগ। দিনমজুরদের দুর্ভোগ। নানা দুর্ভোগ আর কষ্টে দিন কাটছে দরিদ্র মানুষের। শীত আর কুয়াশা ছন্দপতন ঘটিয়েছে সাধারন মানুষের জীবনযাত্রায়।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত জেলায় শীতের তীব্র প্রকোপ শুরু হয়েছে। শীতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। বুধবার দিনভর কোথাও সুর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। ঠান্ডা বাতাস কাঁপিয়ে তুলেছে ছিন্নমুল মানুষগুলোকে।
পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে পথে-ঘাটে থাকা মানুষগুলো দুর্বিসহ দিনপার করছেন। বিশেষ করে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিকরা জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে। শীতজনিত রোগ-বালাই শুরু হয়েছে। শীতে শিশু-বয়োবৃদ্ধ বেশি কষ্টে ভুগছেন।
ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় ৪২০জন ডায়রিয়া এবং ৬৪জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসাতালের মেডিকেল অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, শীতে তাপামাত্রা কমে যায়। এ সময় শিশুদের গরম কাপড় ব্যবহার, বাসি ও ঠান্ডা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। নইলে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া হতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, সরকারীভাবে বরাদ্দ জেলায় ৪৪ হাজার ১শত হাজার কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরন করা হয়েছে।
এছাড়াও এনজিওসহ অন্যান্যবরাদ্দ বাবদ প্রায় ৪ হাজার বিতরন করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আরো ২০ হাজার কম্বলের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply