মফস্বল সাংবাদিকতার দিকপাল ও চারণ সাংবাদিকখ্যাত মোনাজাতউদ্দিনের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুটি নৌকাডুবির তথ্যানুসন্ধান করতে অসুস্থ শরীর নিয়ে যাত্রা করেন গাইবান্ধায়। যাওয়ার পথে ‘শেরেবাংলা’ নামক ফেরিতে তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন। ফেরির ছাদ থেকে হঠাৎ করেই পানিতে পড়ে যান তিনি। স্থানীয় নৌকার মাঝিরা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করতে পারলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তিনি তার কর্মেরমাধ্যমেই অমর হয়ে আছেন।
মোনাজাতউদ্দিন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও ছোটগল্প ও নাটক রচনা, আলোকচিত্র, প্রচ্ছদ ও অলংকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও তিনি কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন।
বাংলাদেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে তাকে চেনেন সবাই। এ চারণ সাংবাদিক চষে বেড়াতেন গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। খবরের খোঁজে মিশে যেতেন মানুষের মধ্যে। মানুষের কাছাকাছি থেকে, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র সংগ্রহ করতেন।
মোনাজাতউদ্দিন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে বগুড়ার সাপ্তাহিক বুলেটিন পত্রিকার মাধ্যমে তিনি ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। ১৯৬২ সালে স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে ঢাকার কাগজ, দৈনিক আওয়াজ এবং ১৯৬৬ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় তিনি সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনকণ্ঠই ছিল তার ঠিকানা। মোনাজাত একজন গবেষকও ছিলেন।
Leave a Reply