রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার প্রথম ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। তবে ভোটারদের অভিযোগ ভোট দিতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙ্গুলের ছাপ মেলাতেও কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেক ভোটারের।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর চব্বিশহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বুড়িরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ছাড়াও বেশকয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে নারী ও পুরুষ ভোটারের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোটারদের।
তবে ভোটগ্রহণে ধীরগতির বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে তিনটি ব্যালটে ভোট প্রদান করেন। এসময় ভোটাররা একটু চিন্তা-ভাবনা করতে সময় নেন। এজন্য একটু লেট হয়। এছাড়াও অনেক ভোটার এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন এসব কারণে সময় কিছুটা বেশী লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইভিএমের বিষয়ে বড় ধরনের কোন সমস্যা নেই জানিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, ছোট খাটো সমস্যার বিষয়ে আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ করা ৩৩ জন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। একই সাথে বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাব-বিজিবির একাধিক টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে। তারা ভোটের আগে ও পরে মোট ৫ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন।
এবার মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন সর্বমোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ৩০নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
Leave a Reply