ভাঙা ইঞ্জিনের কাঠের নৌকায় এক মাস সাগরে ভেসে থাকার পর ৫৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার একটি সমুদ্র উপকূলে পৌঁছেছে। তাদের সবাই পুরুষ। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এক মাস সাগরে ভেসে থাকায় সবাই ক্ষুধার্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কমপক্ষে ৩ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে মাঝ সমুদ্রে ১৫০ রোহিঙ্গার একটি দল আটকে পড়েছিল। এরা সেই দলেরই অংশ কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের আদি নিবাসে নির্যাতিত জাতিগত সংখ্যালঘু।
কাঠের নৌকায় করে ৫৭ জন রোহিঙ্গা রবিবার সকালে আচেহ প্রদেশে পৌঁছায় বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র উইনার্ডি।
‘নৌকার ইঞ্জিনটি ভাঙা এবং বাতাসের তেড়ে নৌকাটি আচেহ জেলার বেসারের লাদং গ্রামের একটি তীরে চলে আসে’ বলেন তিনি। ‘তারা জানিয়েছেন যে তারা এক মাস ধরে সমুদ্রে ভেসে ছিলেন।’
স্থানীয় এক অভিবাসন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, শরণার্থীদের সাময়িকভাবে সরকারি ব্যবস্থায় রাখা হবে।’
তবে এই শরণার্থীরা কোন জায়গা থেকে যাত্রা করেছিল তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্দামান সাগরের আশপাশের দেশগুলোকে অন্তত ১৫০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী একটি ছোট নৌকাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ওই রোহিঙ্গা দলটি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছিল।
Leave a Reply