রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে হঠাৎ করে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণের আগে প্রথমে ইভিএম পরীক্ষা করতে হবে। একটা প্রতীকে ভোট দিলে অন্য প্রতীকে ভোট যাবে কি না, সেটা পরীক্ষা করতে হবে। ডামি হার্ড কপি বের করে দেখাতে হবে।
‘আমাদের পুলিং এজেন্টরা যখন ওকে বলবে, তখন ভোট চালু হবে। প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার জিরো রিডিং আছে কি না, সেটা কনফার্ম করবেন।’
রোববার নগরীর জীবনবিমা মোড়ে প্রচারে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এই জাপা নেতা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কমিশনের এমন বক্তব্যে আমরা বসে নেই। ২২৯টা ভোট কেন্দ্রে আমাদের পর্যাপ্ত নেতা কর্মী থাকবে। তারা অতন্দ্রপ্রহরীর মতো পাহারা দিবে। ভোটে কোনো ধরনের কারচুপি বা জালিয়াতি করার চেষ্টা করলে স্পটেই দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট আছে।'
ইভিএমে ভোট নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন, জানতে চাইলে মোস্তফা বলেন, 'আগে ইভিএমে অনেক অঘটন ঘটেছে। তাই আমরা সজাগ আছি, যাতে এখানে কোনোভাবেই ভোট কারচুপি না হয়। গাইবান্ধার মতো পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য সজাগ আছি। আমাদের সব প্রস্তুতি যথেষ্ট আছে।'
গাইবান্ধার মতো পরিস্থিতি হলে কী করবেন, এমন প্রশ্নে মোস্তফা বলেন, 'রংপুর অত্যন্ত ঠান্ডা জায়গা। এটা যখন জ্বলে ওঠে তখন অগ্নিগিরির মতো জ্বলে ওঠে। দেশের রাজনীতিকে নাড়া দেয়। আমি মনে করি, এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত সরকার নিবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিলে সব বুমেরাং হয়ে যাবে।'
এরপরেই জাতীয় নির্বাচন। রংপুরে অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের যে অনাস্থা আছে, সেই দাবিটা আরও প্রকট হবে, যোগ করেন মোস্তফা।
মোস্তফা বলেন, 'রংপুরের মানুষের সমর্থন, ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস দেখেই বোঝা যায় ফলাফলটা কী হবে। গতবারের ইলেকশনে যে উত্তাপ ছিল সেটা এবার নেই। ভোটটা মোটামুটি একপেশে (মোস্তাফার পক্ষে) হচ্ছে। সকালের সূর্য দেখেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। সে ক্ষেত্রে লাঙ্গলের যে জোয়ার, সেই জোয়ারের কাছে অন্য প্রার্থীকে দেখছি না। লাঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত। অনেক ভোটের ব্যবধানে হবে বলে আমি মনে করি।'
২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে রংপুর সিটি নির্বাচন। এবার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় | সম্পাদক: রেজাউল করিম মানিক | অফিস: ২য় তলা, দৌলত কমপ্লেক্স, গুপ্তপাড়া, রংপুর