রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস ও এর নিচে। এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৪৬ জন। এর মধ্যে ৯৩ জন এসএসসি পাস, ৫৩ জন মাধ্যমিকের গণ্ডি অতিক্রম করেননি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৭০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সুজন রংপুরের সমন্বয়কারী রাজেশ দের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সুজন রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নয়জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চারজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, তিনজনের স্নাতক, একজনের এইচএসসি ও একজনের এসএসসির নিচে। স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চার মেয়র প্রার্থী হলেন জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাসদের (ইনু) শফিয়ার রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান। স্নাতক পাস তিনজন হলেন আওয়ামী লীগের হোসেন আরা লুৎফা (ডালিয়া), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অমিরুজ্জামানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হানের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি।
২০১৭ সালে নির্বাচনের তুলনায় ২০২২ সালে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার কিছুটা কমেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ২০১৭ সালে ছিল ৬০ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা এবার ৫৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালের ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ২৫৪ জন প্রার্থীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রার্থীর পেশা ব্যবসা। চাকরির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন ২৩ জন। আইনজীবী প্রার্থী আছেন ২ জন। এদিকে ২০১৭ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ী প্রার্থীর হার সামান্য হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭ সালে এই হার ছিল ৫৯ দশমিক ৫০, যা এবার হয়েছে ৫৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ৫ লাখ টাকার কম সম্পদের মালিক। অন্যদিকে কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক রয়েছেন ৩ জন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে কোটিপতি ছিলেন ৪ জন।
এদিকে ২০১৭ ও ২০২২ উভয় নির্বাচনে ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এই ৬৩ জন প্রার্থীর ২০১৭ সালের হলফনামার সঙ্গে ২০২২ সালের হলফনামার আয়ের তথ্য তুলনা করে দেখা যায়, ৪২ জন প্রার্থীর আয় বেড়েছে, ৭ জনের আয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি, ১০ জনের আয় কমেছে। ৪ জন ২০২২ সালের হলফনামায় আয়ের উল্লেখ করেননি।
Leave a Reply