প্রেমিক-প্রেমকিা দু’জনের মধ্যে ছিল গভীর সম্পর্ক। কর্ম না থাকায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রেমিকাকে আংটি পরিয়ে জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান প্রেমিক। প্রায় আট বছর পর দেশে ফিরে বিয়ের কথা বলতেই প্রেমিকা ও পরিবার বেঁকে বসেন। এ অবস্থায় প্রবাসী প্রেমিক ক্ষোভে কষ্টে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
জানা গেছে, ছেলেটি মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে প্রেমকিার সাথে কথাবার্তা অব্যাহত ছিল। বিদেশ থেকেও গত কয়েক বছরে অর্থ স্বর্ণালঙ্কারসহ বেশ কিছু জিনিসপত্রও পাঠিয়েছে প্রেমিকার জন্য। এর মধ্যে কথা হয় নভেম্বরে এসে ডিসেম্বরের দুই তারিখ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে ফের মালয়েশিয়া চলে যাবে। গত তিনদিন আগেও প্রেমিক মেয়েটি ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন রেখে দেয়।
পরে জানানো হয় এখনি বিয়ে নয়, আরো ভেবে দেখবেন। এই খবরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন প্রবাসি আজিম উদ্দিন। গত দুই দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে এক রকম শয্যাসায়ী হয়ে পড়েন। গত সোমবার ভোরে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে কীটনাশক পান করে গুংগাতে থাকেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নান্দাইল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ঈশ্বররগঞ্জ এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নে চরশ্রীরামপুর মাইজপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন ওরফে হাছু মিয়ার ছেলে আজিম উদ্দিনের (৩২) সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়েি উঠেছিল পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের হাসেন মুন্সীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে অবস্থা বেগতিক হওয়ায় ফের ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তবরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply