নানা আয়োজনে রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করা হয়েছে। রংপুর টাউন হল বধ্যভূমিতে পুস্পার্ঘ অপর্ণ করেন, বিভাগীয় প্রশাসন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে রংপুরে মোমবাতি প্রজ্বলন
রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিবসের প্রথম প্রহরের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাসেম বিন জুম্মন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আতিক -ঊল আলম কল্লোল, আইন সম্পাদক জিয়াউর ইসলাম জিয়া,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সজিব প্রামানিক,স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এরশাদুল হক রঞ্জু,উপ-দপ্তর সম্পাদক জিন্নাত হোসেন লাভলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের।যাতে বাংলাদেশ জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, সর্বোপরি জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা হিসেবে তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই স্বাধীনতার পর থেকে তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
Leave a Reply